Swiss Woman Murder in Delhi

সুইস প্রেমিকাকে দিল্লিতে ডেকে এনে কী ভাবে খুন, কেন খুন? গুরপ্রীতকে জেরা করে জানতে পারল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবকের বিরুদ্ধে সুইস বান্ধবীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তিনি জনকপুরীর বাসিন্দা। মা-বাবা এবং বোনের সঙ্গে থাকেন। নাম গুরপ্রীত সিংহ। তাঁর সুইস প্রেমিকার নাম নীনা বার্জার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫৮
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দিল্লি ঘুরিয়ে দেখানোর নাম করে সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন এক যুবক। শহর ঘুরতে বেরোনোর আগে সেই সুইস প্রেমিকাকে বলেছিলেন, “তোমার জন্য একটা বড় চমক আছে!” কিন্তু কী সেই চমক, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি ওই তরুণী। তার পরই সেই চমক ক্রমশ প্রকাশ্যে এল। তরুণীর হাত-পা শিকলে বাঁধেন ওই যুবক, তার পর তাঁকে নিয়ে শহরের নানা জায়গায় ঘোরেনও। সবশেষে, শাহপুর খাট্টায় বিষ্ণু গার্ডেন এলাকার একটি নির্জন জায়গায় গাড়িটি দাঁড় করান। সুইস তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। তার পর তাঁর দেহ গাড়ির মধ্যে ফেলে রেখে চলে যান।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবকের বিরুদ্ধে সুইস বান্ধবীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, তিনি জনকপুরীর বাসিন্দা। মা-বাবা এবং বোনের সঙ্গে থাকেন। নাম গুরপ্রীত সিংহ। তাঁর সুইস প্রেমিকার নাম নীনা বার্জার। গত বুধবার নীনাকে খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে চলে যান গুরপ্রীত। দেহে পচন ধরেছে কি না তা দেখার জন্য দু’দিন পর আবার বিষ্ণু গার্ডেনে যান তিনি। ফেলে রেখা আসা গাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। দেহে পচন ধরেছে এটা বুঝতে পেরে গাড়ির ভিতর থেকে প্রেমিকার পাচগলা দেহ একটি বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে পশ্চিম দিল্লির তিলকনগর এলাকায় পুরসভার একটি স্কুলের কাছে ব্যাগটি ফেলে আসেন। শুক্রবার তিলকনগর এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।

ওখানে দেহ কে ফেলে রেখে গেল, ওই তরুণীই বা কে, তা তন্দন্ত করতে গিয়েই স্কুলের সামনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসে পুলিশের। সেই ফুটেজ থেকে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায় জনকপুরী এলাকায়। তরুণীকে খুনের সন্দেহে গুরপ্রীতকে আটক করে পুলিশ। তার পরই তাঁকে জেরা করা শুরু হয়। ক্রমাগত জেরার মুখে পড়ে শেষমেশ সুইস তরুণীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন গুরপ্রীত। এমনই দাবি করেছেন এক তদন্তকারী আধিকারিক।

Advertisement

কেন খুন করলেন সুইস তরুণীকে? পুলিশের জেরায় গুরপ্রীত দাবি করেছেন, ২০২১ সালে জ়ুরিখে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ওমেগ্লে নামে একটি অনলাইন চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে নীনার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তার পর তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সুইস প্রেমিকার টানে বেশ কয়েক বার সুইৎজ়ারল্যান্ডেও গিয়েছিলেন গুরপ্রীত। নীনার সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নীনা সেই সম্পর্কে রাজি ছিলেন না বলে দাবি গুরপ্রীতের। বেশ কয়েক বার নীনাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতি বারই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন নীনা। গত সেপ্টেম্বর আবার জ়ুরিখে যান গুরপ্রীত। আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন নীনাকে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সায় দেননি নীনা। তার পরই দিল্লি ফিরে আসেন গুরপ্রীত। দেশে ফিরে নীনাকে দিল্লির আসার আমন্ত্রণ জানা। দিল্লি ঘুরিয়ে দেখানোর প্রস্তাব দেন গুরপ্রীত। আর তাতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন নীনা। তার পরই দিল্লিতে আসেন নীনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement