প্রতীকী ছবি।
বেশ কিছু দিন ধরেই বছর পনেরোর মেয়েটির পিছু নিত এক যুবক। এক দিন সুযোগ বুঝে কুপ্রস্তাব দেয় সে। সেই প্রস্তাবে গর্জে ওঠে কিশোরী। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয় যুবক। তাই, দিনদুপুরে জনবহুল বাজারের মধ্যেই ধারালো অস্ত্রের কোপে তরুণীর একটি হাত কেটে দিল সে। কোপ বসাতে যায় অন্য হাতেও। কিন্তু, জনতা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: টোল প্লাজায় ঢুকে পুলিশের ডাকাতি, ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম বিনোদ চৌরাসিয়া। পেশায় ঝালাইকর্মী। বেশ কয়েক দিন ধরেই নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীকে নানা ভাবে উত্যক্ত করত বিনোদ। ঘটনার দিন ওই কিশোরী বেলা ৩টে নাগাদ ফতেপুর সৈদরির কাছে একটি বাজারে যায়। সেখানেই বিনোদের দোকান। কিশোরীকে দেখে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে তার পিছু নেয় বিনোদ। কিশোরীকে কুপ্রস্তাবও দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। এতে প্রচণ্ড রাগে দোকান থেকে একটি তলোয়ার নিয়ে এসে ওই কিশোরীর উপর হামলা চালায় বিনোদ। বাজারের মধ্যেই কুপিয়ে কিশোরীর একটি হাত কেটে ফেলে সে। কোপ বসাতে যায় অন্য হাতটিতেও। তত ক্ষণে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন প্রায় শ’দুয়েক মানুষ। বিনোদকে টেনে ধরে তারাই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে বিনোদকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী অখিলেশ রাস্তোগির কথায়, ‘‘কিশোরীর একটা হাত কেটে মাটিতে পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল মেয়েটি। অন্য হাতটি কাটতে গেলে লোকজন ছুটে এসে তাকে ধরে ফেলে এবং মেয়েটিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়।’’
আরও পড়ুন: লড়াই শেষ হয়নি, বলছেন জাকিয়া-নুরজাহান
খেরির পুলিশ আধিকারিক এস চিনাপ্পা জানিয়েছেন, অত্যধিক রক্তক্ষরণের জন্য কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রথমে খেরি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে লখনউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘নির্যাতিতা ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার উন্নতিই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেরে ওঠার পর কিশোরীর বয়ান নিয়েই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’