আমি জানি না বলে প্রসঙ্গ এড়ালেন জেটনি। ছবি: পিটিআই।
বাতিল হওয়া নোটের ৯৭ শতাংশ টাকাই ব্যাঙ্কে জমা পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। একটি অর্থনৈতিক সফটওয়্যার সংস্থার রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে বাতিল নোট জমা পড়ে যাওয়াটা, কালো টাকা বিরোধী অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনাতে একটা বড়সড় ধাক্কাই বলা চলে। যদিও এই সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বলে আপাতত প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
সরকারের হিসেবে, গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যখন নোট বাতিলের ঘোষণা করেন, তখন ১৫.৪ লক্ষ কোটি টাকার ৫০০ এবং হাজার টাকার পুরনো নোট বাজারে ছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪.৯৭ লক্ষ কোটি টাকার পুরনো বাতিল নোট জমা পড়ে গিয়েছে। এই হিসেব ঠিক হলে, মাত্র ৪৩ হাজার কোটি টাকার বাতিল নোট আর ফিরে আসেনি ব্যাঙ্কে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তা হলে হলটা কী! কারণ রাতারাতি নোট বাতিলের ঘোষণা করতে গিয়ে মোদীর গর্জনের মূল সুরটা ছিল কালো টাকার বিরুদ্ধেই, যে কালো টাকার ইস্যু ছিল নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী বৈতরণী পেরোনোর বড় হাতিয়ার। নোট বাতিলে রীতিমতো বেহাল অবস্থায় পড়া দেশের আমজনতার কাছে বারবার প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থে এই কষ্টটুকু সহ্য করুন। মানুষের বড় অংশ সেই আর্জি মেনে কষ্ট সয়েছেন হাসি মুখে। দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার লড়াই, প্রধানমন্ত্রীর পাখির চোখ কিন্তু উত্তরপ্রদেশ
কিন্তু গোড়া থেকেই মোদীর কালো টাকার তত্ত্বে সন্দেহ প্রকাশ করে এসেছেন দেশের অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, দেশের মোট কালো টাকার মাত্র ছয় শতাংশ আছে ক্যাশে। তাই নোট বাতিলের মধ্যে দিয়ে কালো টাকার নগন্য অংশকেই ধরা সম্ভব। গোটা ব্যাপারটাকে অনেকেই লোক দেখানো গিমিকবাজি বলেই মন্তব্য করেন। কিন্তু ক্যাশে থাকা কালো টাকার সেই নগন্য অংশটুকুও ধরা গেল না শেষ পর্যন্ত। কেন না প্রায় পুরো বাতিল নোটই জমা পড়ে গেছে ব্যাঙ্কে। এ নিয়ে অবশ্য সরকারি ভাবে কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেউই কিছু জানায়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে ৯৭ শতাংশ বাতিল নোট জমা পড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ‘আমি কিছু জানি না’ বলে বিষযটি এড়িয়ে যান তিনি।