মুম্বইয়ের বহুতল। ফাইল ছবি।
বস্তি এলাকায় নয়। মুম্বইয়ের করোনা আক্রান্তের সিংহভাগই বহুতল এবং আবাসনের বাসিন্দা। আগেই উঠে এসেছিল এই তথ্য। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাণিজ্যনগরী যখন বেসামাল তখনও এই প্রবণতা অব্যাহত। সম্প্রতি বৃহন্মুম্বই পুর কর্পোরেশনের (বিএমসি) তরফে করোনা আক্রান্তদের উপর যে তথ্যপ্রকাশ করেছে সেখানে দেখা গিয়েছে, মুম্বইয়ের সক্রিয় রোগীদের ৯০ শতাংশ বহুতলের বাসিন্দা। মোট সক্রিয় রোগীর মাত্র ১০ শতাংশ থাকেন বস্তি এলাকায়।
বিএমসি যে তথ্যপ্রকাশ করেছে, তা অনুসারে মুম্বইয়ে ৮৭ হাজার ৪৪৩ জন সক্রিয় রোগীর মধ্যে ৭৯ হাজার ৩২ জনই বহুতল বা আবাসনের বাসিন্দা। বিএমসি-র তথ্য অনুসারে, আন্ধেরি, যোগেশ্বরী, মালাবার হিল, গ্রান্ট রোড, পারেল এলাকায় রয়েছে সবথেকে বেশি মাইক্রোকন্টেনমেন্ট জোন। এই সব এলাকার অধিকাংশ মানুষই বহুতলের বাসিন্দা।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছিল তখন মুম্বইয়ের অবস্থাটা এ রকম ছিল না। ২০২০ সালের জুনে মুম্বইয়ের কোভিড আক্রান্তের দুই তৃতীয়াংশই ছিল বস্তি এবং ঘিঞ্জি এলাকার বাসিন্দা। এখন সেখানকার চিত্রটা অনেকটাই আলাদা।