— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাঁচ বছরের বোনের চোখের সামনেই ধর্ষণের শিকার নাবালিকা দিদি। শেষে ২০ টাকা দিয়ে বন্ধ রাখতে বলা হল মুখ। রবিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে পারদি এলাকায়। ঘটনার পর থেকে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, অভিযুক্ত অধরা। তাঁর খোঁজে এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
নির্যাতিতা বালিকা গোন্দিয়ার বাসিন্দা। তিন মাস আগে তার পরিবার দেশের বাড়ি থেকে নাগপুরে আসে। রবিবার বিকাল চারটে নাগাদ পারদি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বাবা-মা কাজ থেকে ফেরার পর তাঁদের ঘটনার কথা জানায় নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে পারদি থানায় যান বাবা-মা। নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তার জামাকাপড়েও মিলেছে রক্তের দাগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে ওই নাবালিকাদের ভাড়াবাড়িতে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। ঘরে অভিভাবকদের না থাকার সুযোগ নিয়ে ন’বছরের ওই বালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। এর পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সে জন্য তার হাতে ২০ টাকাও ধরিয়ে দেন তিনি। আর এ সব ঘটে নাবালিকার পাঁচ বছরের বোনের চোখের সামনেই।
নাবালিকার বোনের বর্ণনা থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মরাঠি। সম্ভবত তিনি এ-ও জানতেন যে, অভিভাবকেরা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর সারা দিন বাড়িতে একাই থাকে দুই নাবালিকা। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযু্ক্ত এখনও অধরা। নাবালিকা ও তার বোনের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।