মণিপুরের হিংসায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরের হিংসায় প্রাণ হারানো কুকি-জো জনজাতি গোষ্ঠীর ৮৭ জনকে গণকবর দেওয়া হল। তাদের মধ্যে রয়েছে এক মাসের একটি শিশুও। প্রায় আট মাস আগে তাদের মৃত্যু হলেও বুধবার চূড়াচাঁদপুর জেলার বাতাস অসংখ্য নারী-পুরুষের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান তুইবোয়াঙ কবরস্থলে। বিভিন্ন জনজাতি সংগঠনের পক্ষে তাঁদের ‘শহিদ’ বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালের মর্গে দেহগুলি রাখা ছিল এত দিন। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যাতে সৃষ্টি না হয়, সে জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় এ দিন। চূড়াচাঁদপুর জেলা জুড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর কংপকপি জেলায় একই ভাবে ১৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়।
হিংসা-হানাহানির দরুন এ বার মণিপুরে যেমন হিন্দুদের নিঙ্গল চকৌবা এবং মুসলমানদের ইদে তেমন জাঁকজমক হয়নি, বড়দিন উদ্যাপনও প্রার্থনাতেই সীমিত থাকছে। মণিপুরের খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে এ কথা জানিয়েছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল মৈতেই ক্রিশ্চিয়ান ইয়ুথ অ্যাসেম্বলি’-র কর্মকর্তারা।