Migrant Workers

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ১৮ দিনে মৃত্যু ৮০ পরিযায়ী শ্রমিকের, বলছে রেল পুলিশের হিসেব

মৃতদের মধ্যে যেমন রয়েছে ৪ বছরের শিশু, তেমন রয়েছেন ৮৫ বছরের ব্যক্তিও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ১৪:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেউ হেঁটেছেন ৫০০ কিলোমিটার, কেউ বা তার বেশি। এ ভাবে হাঁটতে হাঁটতে কেউ বাড়ি পৌঁছেছেন, কারও আবার মৃত্যু হয়েছে পথেই। লকডাউনের পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের এমনই ছবি উঠে এসেছে বার বার। শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রেলের তরফে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু আটকানো যায়নি এই ব্যবস্থার পরেও। রেল পুলিশের হিসেব বলছে, গত ১ মে থেকে ২৭ মে-র মধ্যে ট্রেনেই মৃত্যু হয়েছে ৮০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের।

Advertisement

রেল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১ মে থেকে ২৭ মে-র মধ্যে দেশের নানা রাজ্য থেকে ৩৮৪০টি ট্রেন ছাড়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০ লক্ষেরও বেশি শ্রমিককে তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, মৃত্যুর পরিসংখ্যান ধরা হয়েছে গত ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত। এই ১৮ দিনের মধ্যে পূর্ব-মধ্য রেল, উত্তর-পূর্ব রেল, উত্তর রেল এবং উত্তর-মধ্য রেল জোনগুলিতেই মৃত্যু হয়েছে শ্রমিকদের। মৃতদের মধ্যে যেমন রয়েছে ৪ বছরের শিশু, তেমন রয়েছেন ৮৫ বছরের ব্যক্তিও।

মৃতদের যে তালিকা রেল পুলিশ উল্লেখ করেছে, তাতে বলা হয়েছে কারও কারও মৃত্যু কো-মর্বিডিটিতে হয়েছে। আবার কারও মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। আরও একটা পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর-পূর্ব রেল জোনে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের, উত্তর-মধ্য রেলে ১৯ জন এবং ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জোনে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন শ্রমিকের।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্টেশনে ডেকে এনেও ট্রেন দিল না, পুণের রাস্তায় পড়ে আছেন কয়েকশো জন

মৃত্যু প্রসঙ্গে রেলের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের বেশির ভাগই কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু রেলেরই এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ হল অত্যধিক গরম, ক্লান্তি এবং তৃষ্ণা। প্রথম থেকেই এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হয়েছে শ্রমিকদের। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে অনেকেরই। এমনটাই দাবি ওই রেল আধিকারিকের।

অন্য দিকে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই নানা রকম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে রেলের ট্রেন দেরি হওয়া, রুট পরিবর্তন, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ভুল গন্তব্যে নামিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। আবার ট্রেন ‘হারিয়ে’ যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও সব অভিযোগকে খারিজ করে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, ট্রেন কি কখনও ‘হারিয়ে’ যেতে পারে? গত ১ মে থেকে ৩৮৪০টি ট্রেন চলেছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে। তার মধ্যে চারটি ট্রেন ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়েছে গন্তব্যে পৌঁছতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement