Arunachal Pradesh

Changlang: পুরো গ্রাম ধরেই নেশামুক্তির  সাফল্য

জেলাশাসক দেবাংশ যাদব জানান, ব্যক্তিগত ভাবে নেশামুক্তি কাজে আসছিল না। কারণ গ্রামে নেশাসক্ত ও মদ-মাদক ছড়িয়ে থাকায় নেশা মুক্ত থাকাই সমস্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২১ ১০:১৫
Share:

প্রতীক ছবি।

এক দিকে মায়ানমার, অন্য দিকে অসম। অরুণাচলের চাংলাং মিশ্র জনবসতির জেলা। দেশের মধ্যে অন্যতম সর্বাধিক নেশাসক্ত জেলার মধ্যে রয়েছে চাংলাংয়ের নাম। মদ, আফিম ও অন্যান্য নেশায় চুর থাকা স্বামীদের নিয়ে অতিষ্ঠ স্ত্রীরা। অনেকেই নেশার ঘোরে কাজকর্মেও যান না। এক জন নেশাসক্তকে চিহ্নিত করে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েও লাভ হচ্ছিল না। বাড়ি ফিরেই প্রতিবেশীদের উৎসাহে ফের নেশার পথে ফিরত সে। তাই এ বার জেলা প্রশাসন গোটা গ্রাম ধরে নেশামুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল। ফলও মিলেছে। ৮টি গ্রাম ইতিমধ্যেই নিজেদের নেশামুক্ত ও আদর্শ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা চলছে। নেশামুক্তির কাজ শুরু হয়েছে আরও তিনটি গ্রামে।

Advertisement

জেলাশাসক দেবাংশ যাদব জানান, ব্যক্তিগত ভাবে নেশামুক্তি কাজে আসছিল না। কারণ গ্রামে নেশাসক্ত ও মদ-মাদক ছড়িয়ে থাকায় নেশা মুক্ত থাকাই সমস্যা। এ দিকে মহিলাদের তরফে প্রশাসনের কাছে প্রচুর অভিযোগ আসছিল। তাই গ্রামপ্রধান ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনার পরে প্রশাসন পুরো গ্রাম ধরেই নেশামুক্তির কাজ শুরু করে। প্রথমে প্রধানের কাছ থেকে নেশাসক্ত মানুষদের তালিকা নেওয়া হয়। এর পর তাদের চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি পুলিশ গ্রাম ঘিরে ফেলে নেশার সামগ্রী ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতার করা হয় মাদক কারবারিদের। ফল মিলেছে হাতেনাতে। নেশাসক্তরা নেশামুক্ত হওয়ার পরে আর নেশার পথে না ফিরে অন্যদের সচেতন করার কাজে হাত মিলিয়েছেন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই তাঁরা নিজেদের গ্রামকে নেশামুক্ত, আদর্শ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করছেন। প্রতি গ্রামে গড়া হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গ্রাম সভায় আর নেশা না করার শপথ নেওয়া হচ্ছে। আটটি এমন আদর্শ গ্রাম তৈরি হয়েছে চাংলাংয়ে। দেবাংশ জানান, নেশামুক্ত হওয়ার পরে পুরুষদের হাঁস-মুরগি-শুয়োর পালন, মাছ চাষের মতো বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁরা পরিবারের হাল ধরতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement