বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পান। প্রতীকী ছবি।
মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (ডিএ) ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রের সরকার। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মতো বর্ধিত বেতন পেতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। পেনশনভোগীদের বর্ধিত পেনশনের হিসাবও চলছে। কিন্তু দু’মাস যেতে না যেতেই কেন্দ্রীয় সরকার আবার তার কর্মীদের ডিএ ৩ থকে ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ১ জুলাই থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বর্ধিত হারে ডিএ দেওয়া হতে পারে।
ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতিপূরণ হিসাবে কর্মরত এবং পেনশনভোগী সরকারি কর্মীদের ডিএ দেয় সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, জানুয়ারি এবং জুলাই—বছরে দু’বার সংশোধিত হয় ডিএ। বেতনভোগী কর্মচারীদের মূল বেতনের উপর ভিত্তি করে এবং পেনশনভোগীদের মৌলিক পেনশনের উপর ডিএ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের তরফে সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণাও করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পান।
এখন সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে ডিএ আরও ৩-৪ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে, যা কার্যকর হতে পারে জুলাই থেকে। এমনটাই জানাচ্ছে কয়েকটি সূত্র। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ৪৭.৫৮ লক্ষ বেতনভোগী এবং ৬৯.৭৬ লক্ষ পেনশনভোগী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী আছেন।
এক সপ্তাহ আগেই ঝাড়খণ্ড সরকার তার কর্মীদের মহার্ঘভাতা ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত মাসে, হিমাচল সরকারও সে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা ৩১ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করেছে।
অন্য দিকে, ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা। দীর্ঘ দিন ধরে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা। এমনকি দিল্লির যন্তর মন্তরে গিয়েও ক্ষোভ দেখিয়ে এসেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ।