Tamilnadu

অভিনব কায়দায় কর ফাঁকি, আয়কর হানায় মদ কারখানায় মিলল ৭০০ কোটি টাকা

গত ৬ অগস্ট চেন্নাই, কোয়মবত্তূর, থাঞ্জাভুর-সহ তামিলনাড়ুর মোট ৫৫টি জায়গায় হানা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। অভিযান চালানো হয় কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গোয়াতেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ১৪:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

কর ফাঁকি দেওয়ার উপায় যে এমন হতে পারে তা ধারণা করে উঠতে পারেননি আয়কর বিভাগের কর্তারা। কিন্তু, চক্ষু-কর্ণের বিবাদ মিটল তামিলনাড়ুর দুটি মদ কারখানায় তল্লাশি অভিযানের পর। দুটি কারখানা মিলিয়ে হিসাব বহির্ভূত মোট ৭০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন তাঁরা।

Advertisement

গত ৬ অগস্ট চেন্নাই, কোয়মবত্তূর, থাঞ্জাভুর-সহ তামিলনাড়ুর মোট ৫৫টি জায়গায় হানা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। অভিযান চালানো হয় কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গোয়াতেও। তার মধ্যে তামিলনাড়ুর এসএনজি ডিস্টিলারিজ নামে একটি মদ কারখানায় মিলেছে ৪০০ কোটি টাকা। এ নিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে আয়কর দফতর। তাদের দাবি, গত ৬ বছর ধরে এই বিপুল অঙ্কের টাকার কর মেটানো হয়নি।

আরেকটি সংস্থার বিরুদ্ধেও এমন কায়দায় কর ফাঁকি দেওয়ার খবর পায় আয়কর দফতর। এর পর, গত ৯ অগস্ট কালস ডিস্টিলারিজ নামে ওই মদ প্রস্তুতকারক সংস্থায় হানা দেন তাঁরা। দ্বিতীয় দফার অভিযানে চেন্নাই ও কড়াইকালের মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় হিসাব বহির্ভূত ৩০০ কোটি টাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন: গত ছ’দিনে কোথাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি, বিবৃতি দিয়ে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের​

আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই দুটি সংস্থা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছিল। আয়কর আধিকারিকদের অভিযোগ, সরবরাহকারীদের অনেক গুণ বেশি টাকা দিয়ে কাঁচামাল কিনছিল সংস্থাগুলি। লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের হিসাব কতটা সাফসুতরো তা বোঝাতে সরবরাহকারীদের চেক বা আরটিজিএসের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হত। কিন্তু, পরে সরবরাহকারীদের থেকে সেই বাড়তি টাকা নগদে ফেরত নিয়ে নেওয়া হত। অভিযোগ, এই কাজে জড়িত ছিলেন সংস্থারই হাতে গোনা কয়েকজন কর্তাব্যক্তি। আয়কর আধিকারিকদের দাবি, এই কৌশলে দীর্ঘ দিন ধরেই কর ফাঁকি দিচ্ছিল সংস্থা দু’টি। প্রাথমিক ভাবে, এ নিয়ে মৌখিক অভিযোগ পান তাঁরা। এর পরই শুরু হয় ময়দানে নেমে তদন্ত। বাড়তি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের কী স্বার্থ ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তে নেমে দুটি সংস্থার বিরুদ্ধেই বেশ কিছু নথি উদ্ধার করতে পেরেছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। এমনকি, অনেক বেশি টাকা দিয়ে যে কাঁচামাল কেনা হত সে প্রমাণও তাঁদের হাতে এসেছে।

আরও পড়ুন: মা বারণ করলেও শোনেন না, নিয়মিত শহর ঝাড়ু দেন এই তরুণী ইঞ্জিনিয়ার​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement