প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক- তিয়াসা দাস।
৭০ বছরের মুম্বইয়ের এক বিপত্নীক ব্যক্তি ফের বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এক ডিভোর্সী মহিলার সঙ্গে বিয়ে প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে বিশ্বাস করে বাড়ির এক সেট চাবিও দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির প্রায় ২৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় ওই মহিলা। অভিয়োগ সেই শোকে হৃদরোগে আক্রান্তও হন তিনি। তার পরই পুলিশকে জানান গোটা ঘটনা। প্রতারণার ঘটনা ২০১৯-এ ঘটলেও গোটা ঘটনাটি সামনে এসেছে এ বছর জুলাইয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তির স্ত্রী মারা যান ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে। তখন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু তাঁকে পুনরায় বিয়ে করার পরামর্শ দেন। সেই বন্ধু তাঁকে এক ডিভোর্সী মহিলার খোঁজও দেন। সেই মহিলার ২১ বছরের মেয়ে রয়েছে। বন্ধুর মাধ্যমেই ওই মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বৃদ্ধের। মহিলা থাকতেন রাজস্থানের জয়পুরে। বিয়ের পাকা কথা বলতে ওই মহিলা, তাঁর মেয়ে ও বাবা-মা মুম্বইয়ে আসেন। সেখানে এসে ওই বৃদ্ধের বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা।
কিন্তু ওই মহিলার উদ্দেশ্য না বুঝেই তাঁকে বিশ্বাস করে বাড়ির এক সেট চাবি তাঁর হাতে তুলে দেন ওই বৃদ্ধ। ওই মহিলা জয়পুরে রেজিস্ট্রি বিবাহের প্রস্তাব দেন। সেই মতো ২০১৯-এ রেজিস্ট্রি বিবাহ করতে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে জয়পুর উড়ে যান ওই ৭০ বছরের বৃদ্ধ। সেখানে গিয়ে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রির জন্য এক মাস পরে দিন নির্দিষ্ট হয়। সে সময় জয়পুরে থাকতে রাজি হননি বৃদ্ধ। তিনি মুম্বই ফিরে আসেন।
জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন সম্পত্তির কাগজপত্র নেই। এর কিছু দিন পর তিনি লক্ষ্য করেন, ওই মহিলারা তাঁর বাড়ির যে ঘরে ছিল, সেই ঘরে থাকা গয়না-সহ দামি জিনিসপত্র উধাও। তার পর ওই মহিলার ও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে হাজার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: বাইক ছোঁয়ার ‘অপরাধে’ অর্ধনগ্ন করে দলিতকে পেটালো উন্মত্ত জনতা
মুম্বইয়ের এমএইচবি থানায় অভিযোগ করে, ওই মহিলার খোঁজে জয়পুর গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে মহিলার খোঁজ না পেয়ে বিয়ের আবেদন বাতিল করেন। তার পর থেকেই প্রচণ্ড হতাশ ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হন। জয়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সুস্থ হওয়ার পর মুম্বইয়ে ফেরেন তিনি।
এর পর তাঁর শরীরের ফের অবনতি হয়। ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। নিজের শরীর খারাপের জন্য ওই প্রতারণাকে দায়ী করে ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন। ৯ জুলাই ওই বৃদ্ধের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের হয়। তার পরই বিষয়টি সামনে আসে।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লিতে ভেঙে পড়ল বাড়ি, ভাসল জলের তোড়ে