গোকুলপুরীর অগ্নিকাণ্ড এবং মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ছবি: পিটিআই।
দিল্লির গোকুলপুরী এলাকার এক বস্তিতে শুক্রবার মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হল সাত জনের। আহত বেশ কয়েক জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১টা নাগাদ বস্তিতে আগুন লাগার খবর আসে দমকলের কাছে। সেই আগুন মুহূর্তে বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন বস্তিবাসীরা। আগুন লাগতেই হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। কিন্তু তত ক্ষণে আগুনের গ্রাসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।
রাতভর লড়াই চালিয়ে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। পরে তল্লাশি চালানোর সময় সাত জনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। দেহগুলি এমন ভাবে ঝলসে গিয়েছে যে চেনার উপায় নেই, জানিয়েছেন এক দমকল আধিকারিক।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল যে ঘর ছেড়ে বেরোতে পারেননি ওই ব্যক্তিরা। ফলে আগুনের গ্রাসে মৃত্যু হয় তাঁদের। দিল্লির দমকল বিভাগের অধিকর্তা অতুল গর্গ বলেন, “আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ৬০টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।”
গোকুলপুরীর অগ্নিকাণ্ড এবং মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।