ফাইল চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভারত সফরে প্রতিনিধি দলে থাকার কথা সাত জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের। তাঁদের মধ্যে যেমন থাকছেন সে দেশের পরমাণু দফতরের সহ-সচিব রীতা বরণবাল, তেমনই প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজস্ব বিভাগের সহ-সচিব বিমল পটেল, ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের চেয়ারম্যান অজিত পাই, এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য প্রেম পরমেশ্বরনেরা।
চলতি বছরেই নিজের দেশে নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প। কূটনীতিকদের মতে, তাঁর আসন্ন ভারত সফরকে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক যোগাযোগের পাশাপাশি ঘরোয়া রাজনীতির কাজেও সমান ভাবে ব্যবহার করতে চান তিনি। আমদাবাদ, দিল্লি এবং আগরা সফরের সুযোগে দেশের একটি বড় অংশের ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছনোটা তাঁর লক্ষ্য। মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার ভ্যানিলা সিংহ জানিয়েছেন, আমেরিকার বিভিন্ন মন্ত্রকের শীর্ষে থাকা অফিসারেরা ট্রাম্পের আসন্ন সফরটিকে সে দেশ বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে বার্তা পাঠানোর সুযোগ হিসেবেই দেখছেন। একঝাঁক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে যাওয়ার পিছনেও একই কারণ।
আমেরিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা সাধারণত ডেমোক্র্যাটদের পাশে। সমীক্ষায় দেখা যায়, গত নির্বাচনের প্রায় ৭৭ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে ভোট দিয়েছিলেন। এই ভোটব্যাঙ্ককেই টানার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। কূটনীতিকদের মতে, নতুন প্রজন্মের ভারতীয়-মার্কিনরা ট্রাম্পের জাতীয়তাবাদী এবং সংরক্ষণশীল অর্থনীতিতে প্রভাবিত হচ্ছেন। এই ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়ে কিছু ভোট যদি ট্রাম্প নিজের দিকে নিয়ে আসতে পারেন, ফলে তার প্রভাব পড়বে বলে রিপাবলিকানদের ধারণা।