এভারেস্ট, মাকালুর পরে দুঃসংবাদ ‘নন্দাদেবী পূর্ব’ থেকেও। শৃঙ্গ জয়ের পথে নিখোঁজ সাত বিদেশি ও এক ভারতীয় অভিযাত্রী।
উত্তরাখণ্ডের এই পর্বতের দু’টি শৃঙ্গ। ৭৪৩৪ মিটার উচ্চতার ‘নন্দাদেবী ইস্ট’ শৃঙ্গেই সচরাচর অভিযান হয়। পশ্চিমের চূড়াটি আরও উঁচু। ব্রিটেন, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সাত অভিযাত্রী গিয়েছিলেন ‘নন্দাদেবী পূর্ব’ জয় করতে। সঙ্গে ছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ের এক লিয়েজ়ঁ অফিসার।
পিথোরাগড়ের জেলাশাসক বিজয়কুমার জোগদান্ডে আজ জানান, গত ১৩ মে মুন্সিয়ারি থেকে রওনা হয়েছিল দলটি। নেতৃত্বে বিখ্যাত ব্রিটিশ পর্বতারোহী মার্টিন মোরান। তিনি আগেও দু’বার ওই শৃঙ্গে উঠেছিলেন। দলের অন্যেরা হলেন ব্রিটেনের জন ম্যাকলারেন, রিচার্ড পেন এবং রুপার্ট হাভেল, আমেরিকার অ্যান্টনি সুডক্যাম এবং রেচেল বিমেল, অস্ট্রেলিয়ার রুথ ম্যাকরেন। দলের একমাত্র ভারতীয় সদস্য চেতন পাণ্ডে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, শৃঙ্গ জয় করে ওই পর্বতারোহীদের বেস ক্যাম্পে ফেরার কথা ছিল গত ২৫ মে। কিন্তু ওঁরা ফেরেননি। গত কাল রাতে সেই খবর পেয়েই ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)-র উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি ১৪ জনের বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। ওই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা, পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা। আজ দেহরাদূন থেকে হেলিকপ্টারে তল্লাশিরও চেষ্টা হয়েছিল, যদি পাহাড়ে কারও দেখা মেলে। খারাপ আবহাওয়ায় বিশেষ লাভ হয়নি। আবহাওয়ার উন্নতি হলে দেহরাদূনের পাশাপাশি রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলি থেকেও হেলিকপ্টারে তল্লাশির চেষ্টা চলবে।
জেলা সদর থেকে মুন্সিয়ারি ১৩২ কিলোমিটার। সেখান থেকে পর্বতারোহীদের প্রায় ৯০ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেক করে পৌঁছতে হয় বেস ক্যাম্পে। জেলাশাসক জানান, আইটিবিপি-র দলটি বেস ক্যাম্প থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে মারতোলি গ্রামে পৌঁছেছে। শীঘ্রই বেস ক্যাম্পে পৌঁছবেন তাঁরা।