একই ছবিতে ২৬ ভোটার মধ্যপ্রদেশে!

একই ছবি দিয়ে ২৬ জন ভুয়ো ভোটার। মধ্যপ্রদেশের ১০০টি কেন্দ্র খুঁজে এমন প্রায় ৬০ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে রাহুল গাঁধীর দল। চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০৪:১১
Share:

মুখ এক। ভোটার অনেক। —নিজস্ব চিত্র।

একই মহিলার ছবি। কখনও তিনি ২৮ বছরের রজনীবাই, কখনও ৪৫ বছরের পার্বতীবাই। কোথাও আবার তিনিই ৩০ বছরের ফাজিয়া খান। কখনও সেই মহিলাই পুরুষ হয়ে হচ্ছেন ২৪ বছরের সুরেশ।

Advertisement

একই ছবি দিয়ে ২৬ জন ভুয়ো ভোটার। মধ্যপ্রদেশের ১০০টি কেন্দ্র খুঁজে এমন প্রায় ৬০ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে রাহুল গাঁধীর দল। চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে।

কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিগ্বিজয় সিংহের মতো রাজ্যের কংগ্রেসের মাথারা আজ একজোট হয়ে নালিশ জানাতে গেলেন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ফন্দি টের পেয়ে সেখানেই থামছে না রাহুলের দল। এই মুহূর্তে বিজেপির দখলে কুড়িটির বেশি রাজ্য। লোকসভা ভোটের আগে এ ভাবে রাজ্যে-রাজ্যে ভুয়ো ভোটার দিয়ে খেলা ঘোরাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী— সেই আশঙ্কায় সব রাজ্যে তদন্তে নামছে কংগ্রেস।

Advertisement

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের মাত্র ১০০টি কেন্দ্রে খোঁজ করতে গিয়ে ১২% ভুয়ো ভোটার ধরা পড়েছে। বিজেপির সঙ্গে কমিশনের কিছু অফিসারের যোগসাজস ছাড়া এটি সম্ভব নয়। কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট, এই বিষয়টি শুধু একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যেও তাই খোঁজ শুরু হবে।’’ কমলনাথ বলেন, ‘‘বিজেপির রাজ্যে এত লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার, অথচ বিজেপি চুপ। তাদের মুখে কোনও অভিযোগ নেই। কারণ, তারাই করিয়েছে এটি!’’

কংগ্রেসের অভিযোগ পেয়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশন আজই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিশেষ টিম গঠন করে চার দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে। কিন্তু কংগ্রেসের সাফ কথা, এর পর কোনও ভুয়ো ভোটার ধরা পড়লে যেন কমিশনের অফিসারের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়। তালিকা চূড়ান্তের সময় কমিশনের অফিসারকে লিখে দিতে হবে, এ তালিকা সঠিক।

আরও পড়ুন:

শরিক-মান ভাঙাতে আসরে মোদী-অমিত

কংগ্রেসের মতে, যে কোনও রাজ্যে মাত্র ১% কম ভোটেও গোটা ছবিটা বদলে যায়। আর সেখানে ১০-১২% ভুয়ো ভোটারের কল আগে থেকেই খুলে রাখছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ২৪%, আর ভোটার বেড়েছে ৪০%! কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এটিও অমিত শাহের মাইক্রোম্যানেজমেন্টের অঙ্গ হবে। উপর মহলের ইশারাতেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে এমন ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজেই এ সব ধরে ফেলা যায়। বিজেপির চাল ভেস্তে দেওয়া হবে গোটা দেশে।’’

তবে বিজেপি দায় এড়িয়ে বলছে— কমিশনের ব্যাপার, তারাই দেখবে অভিযোগ ঠিক কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement