— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছ’বছরের নাবালককে অপহরণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বিহারের রাজধানী পটনায়। মুক্তিপণের জন্য বাড়িতে ফোন। পরে পুলিশের চাপে পরিত্যক্ত জায়গায় নাবালককে ফেলে চম্পট অপহরণকারীদের।
মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে স্কুলে গিয়েছিল ছ’বছরের শিবম। স্কুলের কাছে তাকে পৌঁছে দিয়ে কাজে বেরিয়ে যান বাবা। প্রতি দিনের মতোই হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে প্রবেশ করে শিবম। মঙ্গলবারেও তেমনই হয়েছিল। কিন্তু স্কুলে পৌঁছনোর ঠিক আগে কয়েক জন তাঁকে উপহারের লোভ দেখায়। একটি গাড়ির সামনে ডাকে। তার পর শিবম সে দিকে যেতেই তাকে চেপে ধরে জোর করে গাড়িতে ঢুকিয়ে চম্পট দেয় তারা।
স্কুল শেষের পর প্রতি দিনই শিবমের বাবা তাকে আনতে স্কুলে আসেন। মঙ্গলবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু বাবা স্কুলে এসে দেখেন ছেলে নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তাঁকে জানানো হয়, শিবম সে দিন স্কুলেই আসেনি। আকাশ থেকে পড়েন শিবমের বাবা। দ্রুত পুলিশের দ্বারস্থ হয় শিবমের পরিবার। তদন্তে নামে পুলিশ।
এরই মধ্যে শিবমের বাড়িতে ফোন আসে। জানানো হয়, শিবম তাঁদের কাছে রয়েছে। ছেলেকে জ্যান্ত দেখতে চাইলে যেন ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে দেওয়া হয়। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ। এর পর অন্যান্য সূত্র ব্যবহার করে পুলিশ অপহরণকারীদের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা পুলিশের চাপের কাছে মাথা নত করে। বখতিয়ারপুর স্টেশনের কাছে তাঁরা শিবমকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহরণকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব দ্রুত অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এক আধিকারিক।