প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণ রুখতে পুণেতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শনিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই কার্ফু কার্যকর থাকবে। পরের শুক্রবার ফের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবে প্রশাসন। পরবর্তী পদক্ষেপ তারপরে ঠিক করা হবে। এই এক সপ্তাহ শহরে বন্ধ থাকবে শপিং মল, ধর্মীয় স্থান, পানশালা, হোটেল এবং সিনেমা হলও। শুধু চালু থাকবে হোম ডেলিভারি। ওষুধ, খাবার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলবে আগের মতোই।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে আক্রান্ত শহরগুলির মধ্যে মুম্বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে পুণে। বৃহস্পতিবার পুণেতে ৮ হাজার ১১ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বুধবারের থেকে সংখ্যা সামান্য কম হলেও আতঙ্ক তাতে কমছে না। পুণের মেয়র মুরলীধর মোহল বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ৮০ শতাংশ শয্যা করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রাখতে বলেছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এখনও শহরে লকডাউন ঘোষণা করার মতো পরিস্থিত হয়নি। বদলে টিকাকরণ, পরীক্ষার মতো বিষয়গুলিতে জোর দিতে বলেছেন তিনি। তবে বলেছেন, ‘‘এই পদক্ষেপগুলিতে কাজ না হলে পরবর্তীতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে প্রশাসন।’’
পুণের পাশাপাশি খারাপ অবস্থা মুম্বইয়েরও। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে নতুন করে ৮ হাজার ৬৪৬ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় যা রেকর্ড। সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকগুলি ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন স্থান, যেমন বাসস্ট্যান্ড, শপিং মলে শুরু হয়েছে করোনার র্যান্ডম টেস্ট। যারা স্বাস্থ্যবিধি ভাঙছেন, তাঁদের কড়া জরিমানাও করছে মুম্বই পুর প্রশাসন। মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকর জানিয়েছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে শহরের হাসপাতালে শয্যার আকাল দেখা দিতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘‘কেউ লক়ডাউন চাইছে না। কিন্তু সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একান্তই জরুরি। কিন্তু এই সতর্কতায় কাজ না হলে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে।’’