পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বছর কয়েক আগে মা-বাবাকে হারান তিনি। তার পর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। মহিলাকে একা পেয়ে কিসান প্রথমে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান।
প্রতীকী ছবি।
৫৬ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের জঞ্জগির-চম্পা জেলায়।
রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ওই মহিলার। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছিল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মহিলার। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এর পরই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই ফুটেজ দেখে কিসান যাদব নামে এক ব্যক্তির খোঁজ মেলে। তাঁকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। জেরার সময় অপরাধের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বছর কয়েক আগে মা-বাবাকে হারান তিনি। তার পর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। মহিলাকে একা পেয়ে কিসান প্রথমে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান। তাঁকে ধর্ষণ করতে গেলে কিসানকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে কিসান ক্ষেপে ওঠেন। ধর্ষণের পর মহিলার বুকে, পেটে লাথি মারেন। চোখে ঘুসি মারেন। তাতেও রাগ না মেটায় লোহার রড দিয়ে মারধর করেন। শেষে বড় পাথরের চাঁই তুলে মাথা থেঁতলে খুন করেন অভিযুক্ত। তার পর সেখান থেকে চম্পট দেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মারধর এবং খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।