ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রোনের আকারও। প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন রোখা এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মেনে নিচ্ছেন বিএসএফের ডিজি পঙ্কজ কুমার সিংহ। আজ বাহিনীর বার্ষিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে পঙ্কজ জানান, ড্রোনের আনাগোনা পাকিস্তান সীমান্তে বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম সীমান্তে প্রায় ৫৫০০টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যার বিন্যাসে পরিবর্তন হয়েছে বলে বিজেপির তরফে প্রায়ই যে দাবি করা হয়, সে বিষয়ে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি পঙ্কজ। তিনি বলেন, ‘‘জনগণনার কাজ শেষ হলেই স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’’
পঞ্জাব ও জম্মুতে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। তাদের বক্তব্য, সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রোনের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্র পাঠানোর কৌশল নিয়েছে চোরাকারবারি ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। বিএসএফ সূত্রের বক্তব্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে জম্মু ও পঞ্জাবে ৭৯টি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানে গত বছর ১০৯টি এবং এ বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৭০টির কাছাকাছি ড্রোনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঙ্কজ বলেন, ‘‘গত বছর যেখানে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছিল, সেখানে এ বছর নামানো হয়েছে ১৬টি ড্রোন।’’
ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রোনের আকারও। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল অমৃতসর সীমান্তে বিএফএফের এক মহিলা প্রহরী যে ড্রোনটিকে গুলি করে নামান, সেটির ওজন ১৮ কিলোগ্রাম। যেটি প্রায় তিন কিলোগ্রাম মাদক নিয়ে পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে এসেছিল।