—প্রতীকী ছবি।
চতুর্থ দিনে পা দিল পঞ্জাবের পাটিয়ালার কৃষক বিক্ষোভ। আজ শম্ভু স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপরে বসে পড়েন কৃষকেরা। এর জেরে অম্বালা-অমৃতসর রুটে মোট ৫৪টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লি থেকে অমৃতসরগামী, ঋষিকেশ থেকে শ্রীগঙ্গানগরগামী, লুধিয়ানা-অম্বালা ক্যান্টনমেন্ট-গামী ট্রেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কৃষক আন্দোলনে যে ৩ জন কৃষককে গ্রেফতার করেছিল হরিয়ানা পুলিশ, তাঁদের মুক্তি দিতে হবে।
অরাজনৈতিক সংগঠন ‘সংযুক্ত কিসান মোর্চা’ (এসকেএম) এবং ‘কিসান মজ়দুর মোর্চা’-র (কেএমএম) নেতৃত্বে আন্দোলন করছেন কৃষকেরা। গত তিন দিনে কমপক্ষে ৩৮০টি ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বিপাকে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। ধৃত কৃষকদের মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানার কাছে অম্বালা-লুধিয়ানা-অমৃতসর রুটে রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষক নেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানিয়েছেন, ধৃত তিন জনকে মুক্তি দেওয়া না পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।
এসকেএম এবং কেএমএম-এর নেতৃত্বে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন চলছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বেঁধে দেওয়া-সহ একাধিক দাবি রয়েছে তাদের। নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মাঝে শম্ভু এবং খানাউরি সীমানায় বসে রয়েছেন কৃষকেরা। এই বিক্ষোভের মধ্যে নবদীপ জালবেরা, গুরকিরাত শাহপুর এবং অনীশ খাটকার নামে তিন কৃষককে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। মোহালি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় নবদীপ ও গুরকিরাতকে। অনীশকে গ্রেফতার করা হয় ১৯ মার্চ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি। কৃষক নেতাদের দাবি, গ্রেফতারির পর থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন অনীশ। তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল নেই।
দেশে লোকসভা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি রয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, এই পরিস্থিতিতে কোন রাজনৈতিক দলকে তাঁরা চান, সে নিয়ে মুখ খুলবেন না। তবে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘সবাই জানে কোন দল বা কোন প্রার্থী কৃষকদের কথা ভাবেন।’’