ছবি টুইটার।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়— এই সত্য কথনই বাস্তবিক জীবনে করে দেখালেন ত্রিপুরার শীলা রানি দাস। বয়স ৫৩। তাতে কী! দুই মেয়ে যখন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিল, সে সময়ই দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছিলেন শীলা। তার পর একসঙ্গে দাস পরিবারে মিলল সুখবর।
দুই মেয়ের সঙ্গে পরীক্ষায় পাশ করেছেন শীলা। ত্রিপুরা বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৫৩ বছর বয়সি শীলার উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত তাঁর দুই মেয়েও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শীলা বলেছেন, ‘‘পরীক্ষায় পাশ করায় খুব খুশি। আমার মেয়েরা আমায় প্রেরণা জুগিয়েছে। পাশ করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’’
মায়ের পরীক্ষায় দুই মেয়ে সাহায্যও করেছিল। শীলার এক কন্যা জয়শ্রী দাস জানিয়েছে, সে ও তার বোন মিলে মায়ের পড়াশোনায় সাহায্য করেছিল। তার কথায়, ‘‘মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছে। আমরা খুবই খুশি।’’
অল্প বয়সে শ্বশুরবাড়িতে যেতে হয়েছিল শীলাকে। স্বামীর মৃত্যুর পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। একাই সংসারের হাল ধরেন। দুই মেয়েকে বড় করেছেন। এত বছর পর অধরা থাকা ‘স্বপ্ন’ যেন পূরণ হল শীলার।