প্রতীকী ছবি।
উচ্চবর্ণের এক যুবকের বিরুদ্ধে দলিত কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, তার পর থেকেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ আসতে শুরু করে। শাসানোও হতে থাকে পরিবারটিকে। কিন্তু সেই শাসানি আর চাপের কাছে মাথা নোয়াতে চায়নি নির্যাতিতার পরিবার।
তারা জানিয়ে দেয়, অভিযোগ তোলা হবে না। আর তার পরই ৫০টি দলিত পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করার অভিযোগ উঠল কর্নাটকের ইয়াদগিরে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলিত কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে উচ্চবর্ণের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অগস্টের গোড়াতে কিশোরী তার বাড়িতে জানায়, সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যুবকের সম্পর্কেও বাড়িতে জানায়। এর পরই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই কিশোরীর পরিবারকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্তের পরিবার। অভিযোগ, বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। অভিযোগও তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করে। ১৩ অগস্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই ঘটনা উচ্চবর্ণদের ক্ষিপ্ত করে তোলে। তখন তাঁরা ওই এলাকার ৫০টি দলিত পরিবারকে সামাজিক বয়কট করেন। এলাকার কোনও দোকান, মন্দির, সালোঁ এমনকি রাস্তায় চলাফেরার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যদিও পুলিশ সুপার সঙ্গীতা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার কথা তাঁরা জানা নেই। তবে এ রকম ঘটে থাকলে পদক্ষেপ করা হবে।