Chhattisgarh Express

১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল ট্রেন, হঠাৎ বসে গেল রেললাইন! হেলে পড়েও রক্ষা পেল ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস

এক যাত্রী জানিয়েছেন, আচমকাই ট্রেনটি হেলে যেতে শুরু করে। কেন এ রকম হচ্ছে বুঝতে পারার আগেই ট্রেনটি ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩২
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস। ট্রেনটি পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুর যাচ্ছিল। মধ্যপ্রদেশের মোরেনার হেতমপুর স্টেশন এবং রাজস্থানের ঢোলপুর স্টেশনের মাঝে বৃষ্টির জের আচমকাই বসে যায় রেললাইন। সেই সময় ওই লাইন ধরেই ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসছিল ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস। রেললাইন বসে যাওয়ায় ট্রেনটি হেলে পড়ে। তবে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

এক যাত্রী জানিয়েছেন, আচমকাই ট্রেনটি হেলে যেতে শুরু করে। কেন এ রকম হচ্ছে বুঝতে পারার আগেই ট্রেনটি ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তত ক্ষণে ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। পরে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ওই এলাকায়। বৃষ্টির জেরে রেললাইনের নীচ থেকে মাটি সরে যায়। সেই সময় ওই লাইনেই ছুটে আসে ছত্তীসগঢ় এক্সপ্রেস। তবে বিষয়টি প্রথম নজরে পড়ে রেলেরই এক কর্মীর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোরেনা স্টেশন মাস্টারকে সতর্ক করেন। স্টেশন মাস্টার ট্রেনর চালককে সেই বার্তা পাঠান।

স্টেশন মাস্টারের বার্তা পাওয়ার পরই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামান চালক। তত ক্ষণে ট্রেনের বেশির ভাগ বগিই এক দিকে হেলে পড়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা দেখেন রেললাইনের নীচে মাটি সরে গিয়ে ছ’ফুট মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তড়িঘড়ি সেই গর্ত বোজানো হয়। তার পর রেললাইনের মেরামতি করে ট্রেনটিকে রওনা করানো হয় দেড় ঘণ্টা পর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মোরেনায়। আপাতত ওই এলাকায় ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement