ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরল কাশ্মীরে
১৮ মাস পরে ফোর-জি ইন্টারনেট চালু হচ্ছে কাশ্মীরে। শুক্রবার রাত থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি টুইট করে কাশ্মীরের বিদ্যুৎ ও তথ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব রোহিত কনসাল খবরটি জানান। টুইটারে লেখেন, জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র ফোর-জি পরিষেবা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০১৯-এর অগস্টে কেন্দ্রের মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকেই উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল। বিশ্বের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনা আগে কখনও হয়নি।
শুক্রবার ফোর-জি পরিষেবা চালু করার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কাশ্মীরবাসীর উদ্দেশে 'ফোর-জি মুবারক' লিখে টুইট করেন ওমর। ইন্টারনেটহীন দীর্ঘ সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ওমর লেখেন, 'দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত যে এই পরিষেবা চালু হয়েছে, এই অনেক'।
কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু করার কথা এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফেও বলা হয়েছিল কেন্দ্রকে। ইন্টারনেট বন্ধ করে কেন্দ্র যে কাশ্মীরবাসীর বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে সে কথাও বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই বেশ কয়েক দফায় ভারতের উত্তরের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় টুজি ইন্টারনেট চালু হয়েছিল। কাশ্মীরের দু’টি জেলায় ফোর-জি পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়। অবশেষে শুক্রবার রাত থেকে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে সর্বত্রই উচ্চগতিসম্পন্ন ফোর-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।
ইন্টারনেট বন্ধ করার নেপথ্যে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও সমালোচকদের মতে, কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ করার বড় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাকরির বাজারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণে।