রাতারাতি উধাও চার হাজার নাটবল্টু। ছবি: টুইটার
হরিয়ানার উড়ালপুল থেকে রাতারাতি উধাও চার হাজার নাটবল্টু। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়ে এ কথা জানতে পারলেন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার।
অভিনব এই চুরির ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার যমুনানগর জেলায়। সেখানে সহারনপুর, পঞ্চকুলার মধ্যবর্তী ৩৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উড়ালপুলটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। সেখানে পাঠানো হয়েছিল এক ইঞ্জিনিয়ারকে। তিনি গিয়ে দেখেন, ইস্পাত-নির্মিত সেতুটির মধ্যে থেকে হাজার হাজার নাটবল্টু উধাও হয়ে গিয়েছে। কে বা কারা সেগুলি খুলে নিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, ওই উড়ালপুল থেকে অন্তত হাজার চারেক নাটবল্টু চুরি গিয়েছে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সেতুটির নির্মাতা সংস্থা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অজানা দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এ দিকে উড়ালপুল থেকে নাটবল্টু চুরির খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের মধ্যে উড়ালপুল ভেঙে পড়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, নাটবল্টু খুলে যাওয়ায় আস্ত সেতুটাই যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
সেতু থেকে নাটবল্টু চুরির চেয়েও বড় ঘটনা ঘটেছিল বিহারে। গত এপ্রিল মাসে সেখানে আস্ত একটি লোহার উড়ালপুলই চুরি করে নিয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। ৫০০ টন ওজনের সেই উড়ালপুল তৈরি হয়েছিল ১৯৭২ সালে। পরে সরকারের তরফে সেতুটিকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দেওয়া হয়। তাই স্থানীয়রা সেতুটি ব্যবহার করছিলেন না। প্রকাশ্যেই তা চুরি করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর হরিয়ানায় নাটবল্টু চুরির কথা জানা গেল।