Assaam

Assam: ১১ জন মিলে খুন করেছে বাবাকে, বিচার চাই, জন্মদিনের মুখে মোদীকে আর্জি চার বছরের খুদের

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে বাবার হত্যার ন্যায়বিচার চেয়েছে ওই খুদে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:১০
Share:

বাবার হত্যার ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ চার বছরের রিজওয়ান। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

অসমের কাছাড় জেলায় মায়ের সঙ্গে থাকে চার বছরের রিজওয়ান শাহিদ লস্কর। বছর চারেক আগে তাঁর বাবা শহিদুল আলম লস্করকে দুষ্কৃতীরা খুন করে বলে অভিযোগ। বাবার হত্যার ন্যায়বিচার চাইতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবেদন জানিয়েছে চার বছরের ওই খুদে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে বাবার হত্যার ন্যায়বিচার চেয়েছে ওই খুদে।

নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছে রিজওয়ান। সেখানে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আর্জি জানাতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তার হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমি ন্যায়বিচার চাইছি।’ ভিডিয়োয় সে বলছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে সুপ্রভাত। আমার নাম রিজওয়াল শাহিদ লস্কর। আমার বয়স যখন তিন মাস ছিল, তখন ১১ জন দুষ্কৃতী আমার বাবাকে খুন করে। এই বিষয়টি দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি এবং ন্যায়বিচার চাইছি।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, রিজওয়ানের বাবা ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাড়ির ফেরার পথে খুন হন তিনি। এর পর রিজওয়ানের মা জান্নাতুল ফিরদৌস লস্করের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জান্নাতুল বলেছেন, ‘‘২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমার স্বামী সোনাবাড়িঘাটে টেন্ডারের সংক্রান্ত কাজে গিয়েছিলেন। ১১ জন মিলে নৃশংস ভাবে খুন করে তাঁকে। পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু দু’জনকে এখনও ধরেনি। অভিযুক্তেরা আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা নিরাপদে নেই। আমরা ন্যায়বিচার চাইছি।’’ রিজওয়ানের মামা মহিদুল হক লস্কর জানিয়েছেন, ধৃতদের ন’জনই জামিন পেয়েছে। ন্যায়বিচারের জন্য রিজওয়ানকে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলতে তাঁরা সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন মহিদুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement