প্রতীকী ছবি
হাথরসে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘিরে দেশ আলোড়িত। এ বার সেই হাথরসেরই তুতো দাদার লালসার শিকার হল বছর চারেকের এক শিশু। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই শিশুকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। কিন্তু প্রায় ১৮ দিনের লড়াইয়ের পর শেষমেশ লড়াইয়ে হার মানল সে। সোমবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার হাথরসে বিক্ষোভ দেখায় শিশুটির আত্মীয় পরিজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ইগলাস এলাকায় ওই শিশুটির মাসির বাড়িতে তাকে বন্দি অবস্থায় ফেলে রেখেছিল তারই মাসতুতো দাদা। পুলিশ খবর পেয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে উদ্ধার করে। ইগলাস পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট জি মুনির বলেছেন, ‘‘একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ পেয়ে আমরা বাড়িটি খানাতল্লাশি করি। ওই বাড়িটি শিশুটির এক আত্মীয়ের। সেখানেই শিশুটিকে খুঁজে পাই। তাকে প্রথমে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।’’ পরে অবশ্য শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ওই ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর, বন্দিদশায় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন শিশুটির বাবা। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ১৫ বছরের এক কিশোর। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ আরও বলছে, শিশুটিকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে ডাক্তারি পরীক্ষাতেও। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মা অর্থাৎ নিহত শিশুটির মাসি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নিখোঁজ তিনি। তাঁকে ধরতে দু’টি দল গঠন করে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও খবর: অলওয়ার গণধর্ষণ-কাণ্ডে আমৃত্যু কারাবাস চার অভিযুক্তের
মঙ্গলবার হাথরসে শিশুটির দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তার পরিবার। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।
আরও খবর: ‘বিরল এবং ভয়ঙ্কর’, হাথরস কাণ্ড নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট