৪ জন স্বামীর একই দাবি, অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা ঢুকতেই তা নিয়ে সংসার ছেড়েছুড়ে প্রেমিকের হাত ধরেছেন স্ত্রী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই তা নিয়ে স্বামী-সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পগারপার মহিলা। তবে এক-দু’জন জন নন, উত্তরপ্রদেশের ৪ মহিলা এ হেন কীর্তি করেছেন বলে তাঁদের স্বামীদের অভিযোগ। ফলে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকার পাশাপাশি ‘ঘরের লক্ষ্মী’ও খুইয়েছেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের বারাবঁকী জেলার বেলহারা, বাঁকি, জায়েদপুর এবং সিদ্ধৌর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই ৪ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি আবাসের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা করে ঢুকেছিল। তবে সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হলেও তাঁদের ঘরবাড়ি ওঠার চিহ্ন নেই। তা নজরে আসতেই খোঁজখবর শুরু করেন জেলা নগর উন্নয়ন সংস্থা (ডিইউডিএ)-র প্রজেক্ট অফিসার সৌরভ ত্রিপাঠী। বাড়ির নির্মাণকাজ শুরুর নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও ওই ৪ জনের বাড়ির কাজ শুরু হয়নি। তাতেই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি।
৪ জন স্বামীর একই দাবি, অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা ঢুকতেই তা নিয়ে সংসার ছেড়েছুড়ে প্রেমিকের হাত ধরেছেন স্ত্রী। এ বার স্বামীদের আশঙ্কা, আবাসের টাকা পেলেও বাড়ির নির্মাণ শুরু না করায় ডিইউডিএ-র রোষের মুখে পড়বেন অথবা তাঁদের কিস্তির টাকা ফেরত চাওয়া হবে।
আবাস যোজনায় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শহুরেদের ঘরবাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়। প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী, ওই টাকায় অর্ধেক অথবা সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে সংসারের কর্ত্রীর। ‘শাঁখের করাতের’ মুখে পড়ে হতভম্ব স্বামীরা। কী করবেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। তবে পরের কিস্তির টাকা যাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো না হয়, সে জন্য ডিইউডিএ-র আধিকারিক সৌরভ ত্রিপাঠীকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। যাতে ওই টাকা ‘হাতাতে’ না পারেন ‘পলাতক’ স্ত্রী। অন্য দিকে, প্রথম কিস্তির টাকা কী ভাবে আদায় করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ডিইউডিএ।