নান্দিয়াল-কুর্নুল জেলার সীমানায় দেখা মিলল চারটি ব্যাঘ্রশাবকের। ছবি: পিটিআই।
সাতসকালে গ্রামের পাশের চাষের ক্ষেতে হঠাৎই বাঘের বাচ্চা! একসঙ্গে চারটি! অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল এবং কুর্নুল জেলার সীমানায় সোমবারের এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে তিন দিন ধরে তন্নতন্ন করে আশপাশের জঙ্গল এবং অনাবাদী জমিতে তল্লাশি চালানোর পরেও ব্যাঘ্রশাবকগুলির মায়ের সন্ধান মেলেনি!
অন্ধ্রপ্রদেশ বন দফতর জানিয়েছে, বাচ্চাগুলির বয়স মাত্র কয়েক মাস। তাদের মায়ের খোঁজে প্রায় ৩০০ বনকর্মী, বন আধিকারিক এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞকে নামানো হয়েছে। বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। আকাশে উড়ছে ড্রোন! উদ্দেশ্য, দ্রুত বাঘিনিকে খুঁজে বার করে তার চার সন্তানকে কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
এক বন আধিকারিক বলেন, ‘‘শৈশবে মাতৃহারা হলে ব্যাঘ্রশাবকদের আর প্রকৃতিতে ফেরানো যাবে না। বাকি জীবনটা তাদের চিড়িয়াখানাতেই কাটাতে হবে। কারণ, বাঘের শিশুরা মায়ের কাছ থেকেই ধীরে ধীরে শিকার ধরার কৌশল শেখে। তা ছাড়া এই শাবকগুলির বয়স খুবই কম। এই বয়সে মাকে ফিরে না পেলে ওরা জঙ্গলে টিকে থাকতেই পারবে না।’’
অন্ধ্রপ্রদেশ বন দফতর সূত্রের খবর, স্থানীয় গ্রামবাসীরাই প্রথম চারটি ব্যাঘ্রশাবককে দেখতে পান। ওই এলাকা থেকে জঙ্গল প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে। মনে করা হচ্ছে, শাবকগুলি বাঘিনির সঙ্গে রাতে বিভিন্ন জনপথ ঘুরে চলে এসেছে সেখানে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষক (সিডব্লিউএলডব্লিউ) শান্তিপ্রিয়া পাণ্ডে বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে নিকটতম জঙ্গলের বাঘিনি, টি-১০৮ ওই চার শাবকের মা।’’ তিনি জানান, গ্রামের কুকুরদের আক্রমণ থেকে শাবকগুলিকে বাঁচাতে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) অনুমতি নিয়ে চাষের জমিতেই একটি অস্থায়ী ঘেরাটোপ তৈরি করা হয়েছে।