প্রথম দফায় নভেম্বরে আসে ১২৩টি গাভী। প্রতীকী ছবি।
গুজরাত থেকে আরও ৩০০টি গির প্রজাতির গরু আনা হয়েছে অসমে। এদের গরুখুঁটিতে পাঠানো হয়েছে। বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদের পরে রাজ্য সরকার সেখানে 'গরুখুঁটি কৃষি প্রকল্প' হাতে নিয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদন প্রকল্প এরই একটি অংশ। গির গাভী উচ্চ প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন বলে অসম সরকার গুজরাতের সৌরাষ্ট্র এবং গির বনাঞ্চল থেকে গরু আনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দফায় নভেম্বরে আসে ১২৩টি গাভী।
মোট ১৫ হাজার গির গাভী যাতে দরং জেলার গরুখুঁটিতে একই সঙ্গে বিচরণ করে, সরকার সেই লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে এগোচ্ছে। প্রকল্পের চেয়ারম্যান বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা ভাল প্রজাতির গরুর খোঁজে বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে গুজরাত ঘুরে এসেছেন। কথা বলেছেন গুজরাতের কৃষি ও পশুপালন মন্ত্রী রাঘবজি পটেলের সঙ্গে। হাজরিকা জানান, এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় ২০২২-র মার্চের মধ্যে ৫০০ গির-গাভী অসমে আনা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১০০ শতাংশ না হলেও এরই মধ্যে চার শতাধিক এসে গিয়েছে। সৌরাষ্ট্র থেকে ট্রেনে এদের অসমের রঙিয়া পর্যন্ত আনা হয়। সেখান থেকে ট্রাকে পাঠানো হয় গরুখুঁটিতে।
মন্ত্রী পদমর্যাদার চেয়ারম্যান হাজরিকা বলেন, ‘‘এ ভাবে মোট পাঁচ হাজার গির-গরু কেনা হবে। কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ায় তাদের থেকে বছরে দু’হাজার বাছুর মিলবে। এ ভাবে শীঘ্রই তা ১৫ হাজারে পরিণত হবে। এই দুগ্ধ প্রকল্প নিয়ে ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে অসম সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।’’
গির অঞ্চলের এক একটি গরু প্রতিদিন ১৪-১৫ লিটার দুধ দেয়। তাতে এক দিকে যেমন দুধের অভাব মিটবে, তেমনি বেকারি দূর হবে।