বুধবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৭ বছরের স্কুলছাত্রী অ্যাসিড হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
নয়াদিল্লির রাস্তায় তাঁর উপরে অ্যাসিড ছোড়ায় ২ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেন হামলায় আহত স্কুলছাত্রী। যদিও বুধবার এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। হাসপাতালে চিকি়ৎসাধীন ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আহত ছাত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়ের উপরে এক ধরনের রাসায়নিক ছোড়া হয়েছে। যা স্কুলছাত্রীটির চোখে ঢুকে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘১৭ ও ১৩ বছরের আমার দু’মেয়ে মেট্রোয় স্কুলে যায়। আজ (বুধবার) সকালেও স্কুলে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে বেরিয়েছিল ওরা। হঠাৎই দু’জন বাইকে করে এসে বড়মেয়ের দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই আরোহীদের মুখ ঢাকা ছিল।’’ তাঁর মেয়েদের কেউ হেনস্থা করছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মেয়ে যদি কোনও ধরনের হেনস্থার কথা বলত, তবে সব জায়গায় ওর সঙ্গে যেতাম।’’
বুধবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ১৭ বছরের স্কুলছাত্রী অ্যাসিড হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে সে ছবিও ধরা পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২জন মোটরবাইকআরোহী মেয়েটির মুখে তরল কোনও পদার্থ ছুড়ে মারছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পর যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন ওই স্কুলছাত্রী। সেখানে জল দিয়ে তাঁর চোখমুখ ধুয়ে দেওয়া হয়। এর পর সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত ছাত্রীকে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক বিএল শেরওয়াল জানিয়েছেন, ছাত্রীর মুখের ৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েটির ক্ষত কতটা গভীর, তা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’’