নয়াদিল্লির রাস্তায় স্কুলছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলাকারীর বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের। —ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লির রাস্তায় স্কুলছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলাকারীকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া উচিত প্রশাসনের। এমনই দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। তাঁর দাবি, এ ধরনের অপরাধে শুধু কথায় কাজের কাজ হবে না। বুধবার সকালের এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার টুইটারে গম্ভীর লিখেছেন, ‘‘কথায় সুবিচার হবে না। এ ধরনের পশুদের ভিতরে ভয় ঢুকিয়ে দিতে হবে আমাদের। যে ছেলেটি দ্বারকায় স্কুলছাত্রীর উপরে অ্যাসিড ছুড়েছে, তাকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া উচিত প্রশাসনের।’’
পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদের মতোই এই হামলায় ফুঁসে উঠেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এই ঘটনায় অপরাধীর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি। কেজরীর টুইট, ‘‘এ কখনও সহ্য করা যায় না। এ ধরনের অপরাধীরা কোথা থেকে এত সাহস পায়? এই অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া উচিত। দিল্লির প্রতিটি মেয়ের সুরক্ষা আমাদের কাছে জরুরি।’’
বুধবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা মেট্রো স্টেশনের কাছে বোনের সঙ্গে যাওয়ার সময় ১৭ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে দু’জন মোটরবাইকআরোহীর বিরুদ্ধে। এই হামলায় ওই ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ সুপার হর্ষবর্ধন মণ্ডবা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ফোনে এই হামলার খবর পায় মোহন গার্ডেন থানার পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, দ্বারকার একটি বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর উপর দু’জন বাইকআরোহী অ্যাসিড জাতীয় তরল ছোড়েন বলে অভিযোগ। এর পর ঘটনাস্থল থেকে তাঁরা পালিয়ে যান। ডিসিপি বলেন, ‘‘বাইকআরোহীরা তাঁর পরিচিত বলে আহত মেয়েটির সন্দেহ। ওই মেয়েটির কথায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।’’ যদিও পরে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হামলার ঘটনাটি সিসিটিভ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। দুষ্কৃতীদের গতিবিধি জানতে ওই এলাকার সিসিটিভিগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোটা ঘটনায় মহিলা কমিশনের তোপের মুখে পড়েছে দিল্লি প্রশাসন। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। স্বাতীর মন্তব্য, ‘‘আমরা নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে সমস্ত রকমের সাহায্য করছি। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বার বার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও খোলা বাজারে কেন অ্যাসিড বিক্রি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না?’’