Srinagar

শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হত তিন জঙ্গি

নিহত সন্ত্রাসবাদীরা কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৪
Share:

শ্রীনগরের শহরতলিতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। বুধবার সেনার গুলিতে নিহত হয় তিন জঙ্গি। পিটিআই

জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, হাইওয়েতে বড়সড় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল নিহত জঙ্গিদের। মূলত প্রচার পাওয়ার জন্যই তারা হাইওয়েতে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

Advertisement

নিহত সন্ত্রাসবাদীরা কোন গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সেনা। যদিও নিহতদের মধ্যে দু’জন নিরীহ বাসিন্দা বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার। ওই হত্যার প্রতিবাদে পুলিশের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দুই নিহতের পরিজন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি দাবি করেছেন, এনকাউন্টারের গোটা ঘটনা প্রকাশ করুক প্রশাসন।

জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এইচ এস শাহি সাংবাদিক বৈঠক করে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গির নিহত হওয়ার খবর জানান। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই তাঁদের কাছে খবর আসছিল, শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়ে দিয়ে জঙ্গিদের যাতায়াত বাড়ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে গত কাল নিরাপত্তা বাহিনী জানতে পারে এইচএমটি এলাকার লাওয়েপোরায় নুরা হাসপাতালের উল্টো দিকে একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। এইচ এস শাহি বলেন, ‘‘২ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, পুলিশ ও সিআরপিএফের জওয়ানেরা ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। জঙ্গিদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোড়ে তারা। শুরু হয় গুলির লড়াই। নিহত হয় তিন জঙ্গি।’’ ওই সেনা অফিসার জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ গোটা অপারেশন শেষ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ আহত হননি।

Advertisement

শ্রীনগর এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপন নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। এইচ এস শাহি জানিয়েছেন, শ্রীনগর জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ ছাড়া এখানে অনেক অলিগলি রয়েছে, তাই হয়তো জঙ্গিরা ভেবেছিল ওই জায়গায় নিরাপদে আত্মগোপান করা যাবে। শ্রীনগর-বারামুলা হাইওয়েতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বড়় হামলার পরিকল্পনা ছিল নিহত জঙ্গিদের।

নিহতদের মধ্যে দু’জনের নাম আতার ও জুনাইদ। তারা পুলওয়ামার বাসিন্দা। তাদের পরিবারের সদস্যেরা আজ শ্রীনগরে পুলিশের দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানিয়েছেন, আতার ও জুনাইদ একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য গত কাল বাড়ি থেকে শ্রীনগর গিয়েছিল। তাঁদের সন্তান সন্ত্রাসবাদী নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement