উপকূলরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার। —ফাইল চিত্র।
উদ্ধার অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিন কর্মী। সোমবার রাতে আরব সাগরে একটি মোটর ট্যাঙ্কারের কর্মী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করতেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি দল হেলিকপ্টারে করে রওনা দেয়। সেই সময় জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল হেলিকপ্টারটিকে। সেই সময়েই বিপত্তি ঘটে। জরুরি অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। তখন থেকেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিন কর্মী নিখোঁজ।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মোটর ট্যাঙ্কারে গুরুতর আহত এক কর্মীকে উদ্ধারের জন্য সোমবার রাত ১১টা নাগাদ একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। অঞ্চলটি গুজরাতের পোরবন্দরের উপকূল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। হেলিকপ্টারে উপকূলরক্ষী বাহিনীর চার জন কর্মী ছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সেটিকে জরুরি ‘হার্ড’ অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট। তখনই বিপত্তি হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারদের ধ্বংসস্তূপ কোন জায়গায় পড়ে রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাহিনীর এক জন কর্মীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজে এখনও অভিযান চলছে।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারের জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনীর চারটি জাহাজ এবং দু’টি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে একটি ডুবন্ত পণ্যবাহী জাহাজ থেকে বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করেছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী। জাহাজটি কলকাতা থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। দেশের উপকূলীয় এলাকায় অতন্দ্র নজরদারি রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর। যে কোনও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান চালাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে এই বাহিনীর। সম্প্রতি গুজরাতের বন্যা পরিস্থিতিতেও উদ্ধার অভিযানে হাত লাগিয়েছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী।