প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাতের খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে বেরোলে তাঁকে মোটরসাইকেলে করে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যান এক পরিচিত-সহ তিন জন। সেখানেই সকলে মিলে গণধর্ষণ করেন। এর পর তাঁর পোশাক খুলে নেন অভিযুক্তেরা। কোনও রকমে তাঁদের হাত থেকে পালাতে থাকেন। শনিবার রাতে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার রাস্তায় এক যুবতীকে নগ্ন অবস্থায় দৌড়তে দেখে তাঁকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। যুবতীর বয়ানের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভিলওয়াড়া পুলিশ। যদিও অপহরণের তত্ত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শনিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ভিলওয়াড়া জেলার গঙ্গাপুর থানা এলাকায় এক যুবতীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়তে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় ঝুমাপুরা রোডের বাসিন্দারা। যুবতীকে কাপড়চোপড় দিয়ে সাহায্য করা ছাড়াও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে।
গঙ্গাপুরের ডিএসপি লাবুরাম বিষ্ণোই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মত্ত হয়ে ২৫ বছরের ওই বধূকে অপহরণ এবং গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীর দাবি, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ির বাইরে হাঁটতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করেন এক পরিচিত-সহ তিন জন। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩০ বছরের এক যুবক এবং ৪২ বছরের এক ব্যক্তিকে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ওই অভিযোগকারিণীকে।
যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘অপহরণের তত্ত্ব ভুয়ো। তাঁর পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই বধূ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় সেখান থেকে পোশাক ছাড়াই পালিয়ে যান। পুলিশকেও ভুল বিবরণ দিয়েছেন তিনি। বধূর মোবাইল পরীক্ষা করায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।’’ অপহরণের তত্ত্ব ভুয়ো কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অভিযোগের খবর পেয়ে গঙ্গাপুরে যান ভিলওয়াড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমল সিংহ নেহরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেন্সিক দল ওই নির্জন জায়গায় গিয়েছে। ওই পুলিশকর্তার দাবি, এক পরিচিত তাঁর সঙ্গে দেখার করার জন্য ফোন করলেও তাতে রাজি হননি ওই বধূ। পরে বাড়ির বাইরে গেলে তাঁকে অপহরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বধূর ভাঙা চুড়ি এবং যে মোটরবাইকে তিনি অপহৃত হন বলে অভিযোগ, সেটি উদ্ধার করা হয়েছে।
অগস্টের গোড়ায় ভিলওয়াড়ায় এক ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ৩ অগস্টের ওই অভিযোগের মামলায় ইতিমধ্যেই ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ন’জনের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ভিলওয়াড়ায়।