নিখোঁজ আরও শতাধিক। তিরুপতিতে আটকে রয়েছেন অনেক পুণ্যার্থী।
অন্ধ্রপ্রদেশে টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ আরও শতাধিক। তিরুপতিতে আটকে রয়েছেন অনেক পুণ্যার্থী।
উপর্যুপরি দু’টি নিম্নচাপের প্রভাবে প্রায় দশ দিন বৃষ্টি চলছে অন্ধ্রের নানা এলাকায়। বিভিন্ন বাঁধ উপচে উঠেছে। মাটির জল-ধারণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ছাপিয়ে গিয়েছে। বিপর্যস্ত সড়ক এবং রেল-যোগাযোগ। কাডাপা বিমানবন্দর ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি বন্যা পরিস্থতি সরেজমিন দেখেন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
শুক্রবারই রায়লসীমা প্রদেশে অতিবৃষ্টিতে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানা যায়। কাডাপার অন্নামাইয়া বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান বেশ কয়েক জন। তাঁদের অধিকাংশই নদীর ধারের রাস্তায় আটকে পড়া দু’টি সরকারি বাসের সওয়ারি। টানা পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টার উদ্ধার করা গিয়েছে প্রায় ২০ জনকে। উদ্ধারকারী দল আটটি মৃতদেহও পায়। অসমর্থিত সূত্রের দাবি, সংখ্যাটা আরও কিছু বেশি।
অনন্তপুর জেলায় চার জন সওয়ারি নিয়ে একটি গাড়ি চিত্রবতী নদীর কাছে আটকে পড়েছিল। পুলিশ দমকলের সাহায্যে বুলডোজ়ার নিয়ে উদ্ধারে যায়। ফিরতি পথে বুলডোজারে আটকে পড়েন ১০ জন। বায়ুসেনার হেলিকপ্টার গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। অনন্তপুরে বাড়ির ছাদ ভেঙে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। কাদিরি শহরে একটি পুরনো তিনতলা বাড়ি ভেঙে এক বৃদ্ধা ও তিনটি শিশু সহ মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
চিত্তোর জেলায় একটি কারখানা থেকে ফেরার পথে বালিজাপাল্লি বাঁধ উপচানো জলে কজ়ওয়ে থেকে ভেসে যান চার শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। চিত্তোরেই শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ৭,৪৭৩ মিলিমিটার। বিচ্ছিন্ন প্রায় ১,৪০০ গ্রাম। তিরুমালা পর্বত-উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক বাড়ি প্লাবিত।