প্রতীকী চিত্র।
মাছ ধরতে ধরতে কখন যে শ্রীলঙ্কার জলপথে ঢুকে পড়েছেন, তা বুঝতেই পারেননি ২৩ জন তামিল মৎস্যজীবী। যখন বুঝতে পারেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের নৌকা ঘিরে ফেলে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ওই তামিল মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, তাঁদের দু’টি নৌকা বাজেয়াপ্ত করেছে সে দেশের নৌবাহিনী।
জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতিপত্র সঙ্গে করে ৫৪০টি নৌকায় চেপে প্রায় তিন হাজার মৎস্যজীবী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। রাত ২টোর সময় রামেশ্বরমে ফেরার জন্য যখন নৌকার মুখ ঘোরান মৎস্যজীবীরা, তখনই সেনাবাহিনী আটকে দেয় তাঁদের।
বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও ২৩ জন মৎস্যজীবী আটকে পড়েন। অভিযোগ, মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জাল ছিঁড়তে বাধ্য করা হয়। ফলে মৎস্যজীবীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। এমনকি নৌকারও ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
এমন ঘটনা নতুন নয়। প্রায়ই সামুদ্রিক সীমানা লঙ্ঘন করার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার নৌসেনার হাতে গ্রেফতার হন এ দেশের মৎস্যজীবীরা। এই নিয়ে গত মাসেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন শ্রীলঙ্কায় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ২২ জানুয়ারি একই কারণে ছ’জন তামিল মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করেছিল শ্রীলঙ্কার নৌসেনা।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানান স্ট্যালিন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর জন্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন বলেও মনে করেন স্ট্যালিন।