Ghaziabad

হবু বরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিপদ, তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তরুণীর

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ পার্কে হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী। কিছু ক্ষণ পর একটি পুলিশের গাড়ি পার্কের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং গাড়ি থেকে নেমে তিন পুলিশকর্মী ওই যুগলকে ধমক দিতে শুরু করে বলে তরুণীর দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গাজিয়াবাদ শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১০:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আর কিছু দিন পর বিয়ে। তার আগে হবু বরের সঙ্গে পার্কে দেখা করতে যান ২২ বছরের তরুণী। দু’জনে কিছুটা সময় একান্তে কাটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখনই বিপদের মুখে পড়েন ওই যুগল। পার্কে বসে সময় কাটানোর সময় তিন পুলিশকর্মীর হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হন ওই তরুণী। তাঁদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। ১৬ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদের সাই উপবন সিটি ফরেস্ট এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার ১২ দিন পর তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের নাম রাকেশ কুমার এবং দিগম্বর। তৃতীয় অভিযুক্তের নামপরিচয় এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ পার্কে হবু বরের সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী। কিছু ক্ষণ পর একটি পুলিশের গাড়ি পার্কের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং গাড়ি থেকে নেমে তিন জন পুলিশকর্মী ওই যুগলকে ধমক দিতে শুরু করে বলে তরুণীর দাবি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তরুণী জানান, তাঁর হবু স্বামীর গায়ে হাতও তোলে পুলিশ। চড়থাপ্পড় মারার পর হুমকি দিয়ে মোটা টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। তরুণীর অভিযোগ, ১০ হাজার টাকা দিলে যুগলকে সেখান থেকে যেতে দেবেন বলে জানান পুলিশকর্মীরা। ওই তরুণী বলেন, ‘‘আমরা বার বার হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছি। এমনকি ওঁদের পায়েও পড়তে বাকি রাখিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’

তরুণীর দাবি, রাকেশ তাঁদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন। এমনকি তরুণীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ। তিন ঘণ্টা ধরে যুগলকে পার্কের ভিতর আটকে রেখে ভয় দেখান অভিযুক্তেরা। সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নগদ অর্থের দাবিও করেন তাঁরা। তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্তেরা তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে নানা ভাবে যৌন হেনস্থা করেন। অভিযুক্তদের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁদের ১ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তরুণী। সাহায্যের জন্য দিল্লি পুলিশকে ফোন করলে তারা গাজিয়াবাদ থানার সঙ্গে তরুণীর যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কিন্তু তার ফলে বিপদ আরও বাড়ে।

Advertisement

গাজিয়াবাদ পুলিশে কর্মরত হওয়ায় তরুণীর ফোন নম্বর-সহ তাঁর বাড়ির ঠিকানা পেয়ে যান ওই তিন অভিযুক্ত। তরুণীর দাবি, বার বার তাঁকে ফোন করে বিরক্ত করেন অভিযুক্তেরা। তরুণীর বাড়ির সামনে পায়চারি করে তাঁকে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কোতওয়ালি নগর থানায় ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement