পঞ্জাবের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিষমদ কাণ্ডে অসুস্থেরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
বুধবার রাতে প্রাথমিক ভাবে অমৃতসরে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। কিন্তু এর পরে গুরুদাসপুর এবং তরণ তারণ জেলা থেকেও বিষমদে মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। শুক্রবার রাতে পঞ্জাবের তিনটি জেলায় বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ২১ ছুঁয়ে ফেলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের অবস্থা এখনও গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে আজ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।
অমরেন্দ্র সিংহ শুক্রবার টুইট করেন, ‘‘বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। জালন্ধর ডিভিশনের কমিশনার এই তদন্ত পরিচালনা করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির এসএসপি (পুলিশ সুপার) এবং অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁকে সহায়তা করবেন। দোষীদের কোনও অবস্থাতেই রেহাই মিলবে না।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, অমৃতসরের তারসিক্কর এলাকার মুচল এবং টাঙড়া গ্রামে পাঁচজন বিষমদ পান করে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পরে গুরুদাসপুরের বটলা শহর এবং তরণ তারণ জেলা থেকেও বিষমদে মৃত্যুর খবর আসে। বেআইনি চোলাই মদ খেয়েই এই মৃত্যুর ঘটনা।
ঘটনার প্রতিবাদে ওই এলাকাগুলির কিছু বাসিন্দা আজ বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের আঙুল পুলিশের দিকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশেই এলাকায় চোলাই মদের কারবারিদের রমরমা। আজ বিকেলে পুলিশ গিয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্য এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের বয়ান নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনার কেল্লার শহরে বিধায়কদের পাঠালেন গহলৌত