শ্বাসরোধ করে ২১ বছরের মেয়েকে খুন করেছেন তাঁর মা-বাবা। দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। প্রতীকী ছবি।
ছেলেদের সঙ্গে সব সময় মোবাইলে কথা বলায় মেয়ের উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন মা-বাবা। সম্প্রতি তাঁর কাছ থেকে একাধিক ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট’-ও উদ্ধার হওয়ায় তাঁদের সন্দেহ হয়, মেয়ে নিশ্চয়ই কারও প্রেমে পড়েছে। সেই সন্দেহের বশেই তরুণী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন এক দম্পতি। খুনের পর মেয়ের দেহ বিকৃত করার পর তাঁর উপর অ্যাসিড ঢাললেন তাঁরা। এই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের ওই দম্পতি-সহ তাঁদের দুই আত্মীয়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশ জানিয়েছে, কৌশাম্বী জেলার তেন আলামাবাদ গ্রামের ২১ বছরের এক তরুণীকে খুনের অভিযোগে তাঁর মা-বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেহ লোপাটের অভিযোগে ধৃত তরুণীর দুই কাকা। ৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার ওই তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার ‘দাবি’ করে থানায় ডায়েরি করেছিলেন তাঁর বাবা। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার গ্রামের বাইরে একটি খালের ধারে তরুণীর বিকৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কৌশাম্বী জেলার পুলিশ সুপার ব্রিজেশকুমার শ্রীবাস্তবের দাবি, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার দিনই নিজের বাড়িতে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করেন তাঁর মা-বাবা। এর পর আত্মীয়দের সাহায্যে তাঁর দেহ খালের ধারে ফেলে আসেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে বুধবার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘নিজের মেয়ের পরিচয় গোপন করতে তাঁর দেহে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। দেহ সরিয়ে ফেলতে দম্পতিকে সাহায্য করেছেন মেয়েটির দুই কাকা।’’
ঘটনার তদন্তে নেমে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। পুলিশ সুপারের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ওই তরুণী সারা ক্ষণ ছেলেদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। তা নিয়ে মেয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ওই দম্পতি। এর পর তাঁর কাছে একাধিক ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট’ পাওয়া যায়। তাতে দম্পতির সন্দেহ হয় যে তাঁদের মেয়ে কারও সঙ্গে প্রেম করছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়েকে খুন করেন তাঁরা।