যে বয়সে সবাই উচ্চশিক্ষার পরবর্তী ধাপ নিয়ে ভাবেন বা চাকরি খোঁজেন, সেই বয়সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিচারক হওয়ার পথে রাজস্থানের ময়ঙ্কপ্রতাপ সিংহ। প্রথম প্রচেষ্টাতেই রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিসেস-এর প্রবেশিকায় শীর্ষস্থানে একুশ বছর বয়সি এই তরুণ তুর্কী।
জয়পুরের মানসরোবরের বাসিন্দা চলতি বছরের এপ্রিলে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ বছরের এলএলবি কোর্স সম্পূর্ণ করেন। তারপর জুডিশিয়াল সার্ভিসেস-এর পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি।
রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিসের মেনস পরীক্ষায় ৩০০-য় ১৬৯ পেয়েছেন ময়ঙ্কপ্রতাপ। ইন্টারভিউয়ে তাঁর সংগ্রহ ৩৫-এ ২৮। এখন অপেক্ষা করছেন ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন পর্বের।
এত অল্প বয়সে এ রকম কঠিন পরীক্ষায় সাফল্যের কারণ কী? ময়ঙ্কপ্রতাপ জানিয়েছেন, তিনি রোজ ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। আশা করেছিলেন, ফল ভাল হবে। সফল হয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
তিনি মনে করেন, সফল বিচারক হওয়ার জন্য জ্ঞানের থেকেও প্রয়োজন সততা। যে সততার জোরে তিনি পেশীশক্তি ও অর্থশক্তিকে পরাস্ত করতে পারবেন। (ছবি:শাটারস্টক)
জীবনে কোনওদিন কোচিং সেন্টারে যাননি ময়ঙ্কপ্রতাপ। ছিলেন না কোনও গৃহশিক্ষকও। স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা যে পদ্ধতিতে পড়িয়েছেন, সেটাই অনুসরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন এই রাজস্থানি যুবক। আর তাতেই বাজিমাত।
একটি বিষয়ে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আকাশপাতাল পার্থক্য ময়ঙ্কপ্রতাপের। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য।
ফেসবুকে কোনওদিন অ্যাকাউন্ট খোলেননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার বাকি হাতছানিও তিনি ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছিলেন পরীক্ষার আগে। (ছবি: শাটারস্টক)
বন্ধুরা তাঁর সিদ্ধান্তে প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পরে মানিয়ে নিয়েছেন ময়ঙ্কের রীতির সঙ্গে।
এর আগে রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিসেস পরীক্ষায় বসার ন্যূনতম বয়স ছিল ২৩ বছর। এ বছরেই রাজস্থান হাইকোর্ট তা কমিয়ে করেছে ২১ বছর। তার ফলে ময়ঙ্কপ্রতাপ এই পরীক্ষায় বসতে পেরেছেন। না হলে তাঁকে আরও দু’বছর অপেক্ষা করতে হত।
আইনের হাত ধরেই দেশবাসীর সেবা করতে চান ফেসবুক থেকে কয়েক যোজন দূরে থাকা এই তরুণ।