National News

গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিন চিট, নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট পেশ বিধানসভায়

২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগ্নিকাণ্ডে ৫৯ করসেবকের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকে গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় তিন দিন ধরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০০ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় ক্লিনচিট পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট আজ বুধবার গুজরাত বিধানসভায় পেশ হয়। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দাঙ্গায় কোনও হাত ছিল না গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে বেশ কিছু পুলিশ অফিসার যে দাঙ্গার সময় ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিশন।

Advertisement

২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগ্নিকাণ্ডে ৫৯ করসেবকের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকে গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় তিন দিন ধরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০০ জন। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের। দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাত সরকার এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পরোক্ষ উস্কানি দেওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেই সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশন। অর্থাৎ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বা নিয়ন্ত্রণে গড়িমসির কোনও অভিযোগের প্রমাণই খুঁজে পায়নি কমিশন।

কমিশনের তদন্তের এক্তিয়ারে ছিল তৎকালীন পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের ভূমিকাও। সে ক্ষেত্রে অবশ্য বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে দাঙ্গা চললেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু পুলিশ অফিসার ‘প্রয়োজনীয় তৎপরতা ও আগ্রহ দেখাননি’। কিছু পুলিশ অফিসার আবার দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন, উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিশন।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুসলিমদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই: অমিত || এই বিল বাংলা তথা ভারত বিরোধী: ডেরেক

আরও পডু়ন: মুসলিম হব, বলছেন প্রাক্তন আমলারা

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতী এবং অক্ষয় মেটার নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। কমিটি অবশ্য ২০১৪ সালেই গুজরাত সরকারকে রিপোর্ট পেশ করেছিল। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আনন্দীবেন পটেল। কিন্তু সেই সময় রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তারও পাঁচ বছর পরে বিধানসভায় সেই কমিশনের রিপোর্ট পেশ করল গুজরাত সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement