সারা রাজ্য থেকে মোট ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস এবং নগদ উদ্ধার হয়েছে। ছবি: প্রতীকী
১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্য জুড়ে বিপুল পরিমাণ মদ, মাদক এবং নগদ উদ্ধার। সোমবার পর্যন্ত ২০ লক্ষ লিটার মদ, ১,৭০০ কেজি মাদক, যার দাম ৯৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সারা রাজ্য থেকে মোট ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস এবং নগদ উদ্ধার হয়েছে। এই পরিসংখ্যান দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে তারা। রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন দফতরকে সীমানায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও চলবে নজরদারি।
সোমবার ভারতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ভোটমুখী কর্নাটক থেকে যত নগদ অর্থ, মদ উদ্ধার হয়েছিল, এ বার ইতিমধ্যেই তার চার গুণ উদ্ধার হয়েছে। ২০১৮ সালে ৮৩ কোটি টাকার জিনিস উদ্ধার হয়েছিল। এ বার সেই সংখ্যাটা অনেক বেশি। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার একটি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল, নোডাল পুলিশ অফিসার, উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক, নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), কর্নাটক এবং সংলগ্ন রাজ্যের আয়কর দফতর আধিকারিকেরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের সীমানায় কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কর্নাটকের চারপাশে ছ’টি রাজ্য রয়েছে। এই ছ’টি রাজ্যের সীমানায় ১৮৫টি চেকপোস্ট রয়েছে। মাদক, নগদ চোরাচালান রুখতে এই চেকপোস্টগুলিতে নজর রাখতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমেও নজরদারি চালাতে হবে, যাতে ভোট সংক্রান্ত ভুয়ো খবরের উপর নজর রাখা যায়।
২৯ মার্চ থেকে সোমবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ৩০৯ কোটি টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে কর্নাটক থেকে। তার মধ্যে ১১১ কোটি টাকা নগদ, ১৯.৬২ লক্ষ লিটার মদ, যার মূল্য ৭৪.১৩ কোটি টাকা, ১,৬৬২ কেজি মাদক রয়েছে। মাদকের মূল্য প্রায় ২১.১৩ কোটি টাকা। ৭৯৪ কেজি সোনা, রুপোও উদ্ধার হয়েছে, যার মূল্য ৮০.৫৩ কোটি টাকা। এই কোটি কোটি টাকার জিনিস ও নগদ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে ২,৩৯০টি মামলা দায়ের হয়েছে। সারা রাজ্যে ৬৯ হাজার ৮২৫টি অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি বন্দুকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর্নাটকে ১০ মে নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ১৩ মে।