—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ওজন ৬৫ কেজি। নধর শরীরে কানের পাশে রয়েছে একটি জন্মদাগ। মনে হয় যেন আরবিতে লেখা, ‘আল্লা’। প্রায় একই চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে আর একটি ছাগলের গায়ে। বকরি ইদের আগে এই জোড়া ছাগল বিক্রি করেই কপাল ফিরল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার। লখনউয়ের বকরা মান্ডিতে সে দু’টি বিক্রি হয়েছে ৫১ লক্ষ টাকায়। স্থানীয়দের দাবি, চলতি বছরে ছাগল বিক্রি করে কারও এত টাকা আয় হয়নি। ‘পবিত্র’ জন্মদাগ থাকায় এ দু’টির দাম এত চড়েছে।
জোড়া ছাগলের যত্নআত্তিতে বেশ খরচ করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন এ দু’টির মালিক মুস্তাক আহমেদ। ৪৫ বছরের মুস্তাক বলেন, ‘’৬৫ কেজি ওজনের ছাগলটির নাম রেখেছিলাম সলমন। আমার বাড়িতেই জন্মেছিল সেটি। আরবিতে সলমন শব্দের অর্থ বিনয়ী, বিশ্বস্ত। অন্য ছাগলটিকে ঘনী বলে ডাকতাম। আরবি ভাষায় যার অর্থ ধনী ও দয়ালু। বছরখানেক আগে রাজস্থান থেকে ঘনীকে কিনে আনি। দু’টির বিশেষ ডায়েটের জন্য বেশ খরচাপাতি করেছি।’’
লখনউয়ের বকরা মান্ডির ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বাজারে বরবরি, তোতাপরী, পঞ্জাবি পানের মতো নানা প্রজাতির প্রায় ১ লক্ষ ছাগলের কেনাবেচা চলে। সেগুলি নামও বেশ বাহারি। পাঠান, হীরা, রাজকুমার, টাইগার। এক-একটি ছাগলের দামই শুরু হয় ১০,০০০ টাকা থেকে। তবে দামের নিরিখে চলতি বছর সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছে সলমন এবং ঘনী।