— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খুনের পর গাছ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হল দেহ। পর দিন সকালে মিলল নিখোঁজ দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে।
নিহত দুই কিশোরীর বয়স যথাক্রমে ১৫ এবং ১৮। জন্মাষ্টমীর দিন তাদের গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিল ওই দুই কিশোরীও। এর পর আর বাড়ি ফেরেনি তারা। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পর পরের দিন সকালে আমবাগানে তাদের ঝুলন্ত দেহ মেলে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ফোন, মিলেছে সিম কার্ডও।
নিহত এক কিশোরীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল ওরা। সন্ধ্যায় বেরোনোর পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। তাই রাত ন’টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসে মেয়ে। কিন্তু বৃষ্টি থামতেই রাতে আবার বেরিয়ে যায়। অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত ১টায়। কিন্তু অনেক ক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি ওরা।’’ দুই কিশোরী ঘরে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শেষমেশ মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ এক প্রতিবেশী জানান, আমবাগানে ঝুলে রয়েছে দু’টি দেহ। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে দেখা যায়, নিখোঁজ দুই কিশোরীর নিথর দেহ ঝুলছে গাছে।
এই ঘটনাকে অবশ্য আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। নিহত দুই কিশোরীর পরিবারের তরফেও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রধান অলোক প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, ‘‘ওই দুই কিশোরী ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি সিম কার্ড পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এটা আত্মহত্যা না খুন, তা বলা যাবে ময়নাতদন্তের পরেই।’’ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ঘটনায় দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।