প্রতীকী ছবি।
হাথরসের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ থামেনি এখনও। তার মধ্যেই সামনে এল উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও বরাবাঁকিতে দুই দলিত কিশোরীর নির্যাতনের ঘটনা। দুটি ক্ষেত্রেই হাথরসের ঘটনার সঙ্গে মিল পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, কানপুর জেলার সাচেন্ডি এলাকায় গত কাল রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠে গিয়েছিল এক বছর পনেরোর দলিত কিশোরী। তখনই দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে পালিয়ে বাড়ি এসে সে সব কথা জানায়। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও শিশু যৌন নির্যাতন রোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গোবিন্দ বাল্মিকী ও অজয় ওরফে শিববোধন নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্য দিকে বরাবাঁকির সাতরিখ এলাকায় এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে সে বাড়ি থেকে বেরোয়। মেয়ে না ফেরায় তার খোঁজে যান বাবা। গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে মেয়ের নগ্ন দেহ খুঁজে পান তিনি। কিশোরীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মেয়েটির হাত-পা বাঁধা ছিল। ঘটনায় দীনেশ গৌতম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বরাবাঁকি পুলিশ। প্রথমে খুনের মামলা দায়ের করেছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে ধর্ষণের মামলা করা হয়। কিশোরীর বাবা পেশায় শ্রমিক। তাঁর দাবি, ‘‘দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। আর আমাদের জন্য ব্যবস্থা করা হোক পাকা বাড়ির। পুলিশ যেন গ্রামের বাসিন্দাদের অযথা হেনস্থা না করে।’’ বরাবাঁকি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের বাসিন্দাদের কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না।
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে আজ ফের মুখ খুলেছেন রাহুল গাঁধী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অপরাধ ঠেকাতে না পেরে ফের উত্তরপ্রদেশ সরকার তথ্য গোপন করে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর কত জন মেয়েকে নির্যাতন সহ্য করতে হবে? আর কত বার হাথরসের মতো ঘটনা ঘটবে?’’