প্রথম দিনেই দুই খুন, উদ্বেগেই শুরু যোগীর নতুন ইনিংস

দায়িত্ব পেয়েই আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ইলাহাবাদে দুষ্কৃতীর হাতে খুন হয়েছেন এক বিএসপি নেতা ও আগরার এক ব্যবসায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিলেন, পথ তাঁর কট্টরপন্থাই। ছবি: পিটিআই।

দায়িত্ব পেয়েই আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ইলাহাবাদে দুষ্কৃতীর হাতে খুন হয়েছেন এক বিএসপি নেতা ও আগরার এক ব্যবসায়ী। শুরু থেকেই দুষ্কৃতীদের এই তাণ্ডব থামাতে আজ রাজ্য পুলিশের ডিজিপি জাভেদ আহমেদকে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর, মুসলিম ওই বিএসপি নেতার মৃত্যুতে ডিজিপি-র কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুষ্কৃতীদের রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে তাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। অবিলম্বে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটানো কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে একটি রোড-ম্যাপ বানানোরও নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপি-কে।

Advertisement

যোগী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গত কাল রাতে মায়াবতীর দলের নেতা মহম্মদ শামিকে ইলাহাবাদে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই পুরনো বিবাদের কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। এক সময়ে সমাজবাদী পার্টির সদস্য হলেও, বছর খানেক আগে তিনি মায়াবতীর দলে যোগ দিয়েছিলেন। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে কুন্দা আসনে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি। তাঁর সঙ্গে বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও ঝামেলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই বিএসপি নেতার হত্যার প্রতিবাদে শামির সমর্থকেরা ইলাহাবাদ-প্রতাপগঢ় রোড অবরোধ করেন। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: আদিত্যনাথে আতঙ্ক মোছার চেষ্টায় বিজেপি

Advertisement

আর একটি ঘটনায় গত কাল রাতে আগরায় রামকুমার অগ্রবাল নামে এক রুপো ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে সমাজবিরোধীরা। যার প্রতিবাদে আজ সকালে বিক্ষোভ দেখান শহরের ব্যবসায়ীরা।

ভোটের আগে যোগী গোটা রাজ্য চষে বেড়িয়েছেন প্রচারে। দলের তারকা প্রচারক হিসেবে আশ্বাস দিয়েছেন, বিজেপি এলে মায়াবতী ও অখিলেশ জমানার গুন্ডারাজের অবসান ঘটানো হবে। গোরক্ষপুরের সাংসদ হিসেবে এত দিন এলাকায় ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা’য় তাঁর অন্যতম হাতিয়ার ছিল ‘হিন্দু যুবা বাহিনী’। কিন্তু রাজ্যের প্রশাসক হিসেবে এ বার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার নতুন চ্যালেঞ্জ তাঁর সামনে। শপথের দিনই মুসলিম নেতা হত্যার ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্বও। কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন আলোচনা করতে আজ দুপুরে ডিজিপি জাভেদ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে এ দিনই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং বৈঠক করেন জাভেদ আহমেদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement