ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রিসভায় রদবদল করে বেশ কিছু নতুন মুখ তুলে আনা হতে পারে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। সরকারের অন্দরমহলে জোর গুঞ্জন, বিজেপির অন্তত দু’জন তরুণ তুর্কি নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা পেতে পারেন। বাংলার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এই দু’জনের মধ্যে এক জনের বাংলা থেকে আসার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলা থেকে এখন দু’জন মোদীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী। বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। বাজপেয়ী জমানার পরে এই প্রথম বাংলা থেকে কেন্দ্রে দু’জন মন্ত্রী। বিজেপির যে সব নেতা-নেত্রী লোকসভায় তৃণমূলকে হারিয়েছেন, তাঁদের রাজ্য সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ পদে তুলে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মন্ত্রী পরিষদে জায়গা পেতে পারেন।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের এক বছর পূর্তি হয়েছে সদ্য। এই অবস্থায় এমনিতেই মে-জুন মাসে মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা ছিল। কারণ, প্রথমত, শিবসেনা এনডিএ ছাড়ার পরে অনন্ত গীতে পদত্যাগ করায় ভারী শিল্প দফতর মন্ত্রীবিহীন। প্রকাশ জাভড়েকর আপাতত অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তা সামলাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রদেশের ‘হেভিওয়েট’ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকেও ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দিতে হবে। বিজেপি জ্যোতিরাদিত্যকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনছে। করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের ফলে রাজ্যসভার নির্বাচন পিছিয়ে ১৯ জুন স্থির হয়েছে। রাজ্যসভায় জিতে এসেই জ্যোতিরাদিত্য মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন। সরকারের অন্দরমহলের খবর, তাঁকে পরিকাঠামো সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে অতিমারির মধ্যে রদবদল না করে দু’তিন মাস পরেও তা হতে পারে। তার আগে প্রথম বছরে কোন মন্ত্রক কী কাজ করেছে, তার পর্যালোচনা সেরে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে আবার প্রার্থী ভারত, নজর সন্ত্রাস ও কোভিডে
এর আগে রাজ্যসভার বাঙালি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে মন্ত্রী পরিষদে আনা হতে পারে বলে জল্পনা ছিল। সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী পদেও রদবদলের জল্পনা ছিল। লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির বেহাল দশা সামলাতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পরে এখন অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে নির্মলা সীতারামনকে সরালে ভুল বার্তা যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তা ছাড়া অর্থ মন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক দফতর ও ছোট-মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের সচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দুই আস্থাভাজন অফিসার তরুণ বজাজ এবং এ কে শর্মাকে বসানোর পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাশ আরও শক্ত হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাতেও এ বার মোদীর দুই আস্থাভাজন অফিসারকে পাঠানো হচ্ছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই কার্যত আর্থিক নীতি নিয়ন্ত্রিত হতে থাকবে বলে সরকারের সিংহ ভাগের ধারণা।