প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার। — ফাইল চিত্র।
ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখবিরোধী দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে দিল্লির বিশেষ আদালত।
যশবন্ত সিংহ এবং তাঁর ছেলে তরুণদীপ সিংহকে হত্যার মামলায় চার দশক পর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেছেন দিল্লির বিশেষ আদালতের বিচারক কাবেরী বাভেজা। মামলাকারী তথা যশবন্তের স্ত্রী এবং রাষ্ট্রের তরফে সজ্জনের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই
মামলায় সজ্জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সজ্জন বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। যে
কোনও মামলায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের বিধান মেনে আসামির
মানসিক অবস্থার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেইমতো তিহাড় জেলের কাছেও সজ্জনের রিপোর্ট
চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। সজ্জনের বয়স এখন ৭৯ বছর। বার্ধক্যের কথা বাদ দিলেও জেলে থাকাকালীন
তাঁর আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে করছে আদালত। তাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি।
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লিতে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। ওই এলাকায় শিখবিরোধী দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার নেপথ্যেও নাকি ছিলেন রাজনগর কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ। এ ছাড়া, দিল্লির সুলতানপুরীতেও এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি।