গুয়াহাটির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল প্রিয়লিনা নাথের। — ফাইল ছবি।
সময় পেলেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সেই বাইক সফরের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন সমাজমাধ্যমে। হু হু করে বাড়ছিল জনপ্রিয়তা। তার মাঝেই ঘটল বিপত্তি। রহস্যমৃত্যু ১৯ বছরের ইউটিউবারের। গুয়াহাটির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল প্রিয়লিনা নাথের। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর আগেই সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল দেহটি। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে প্রিয়লিনাকে। পরিবারের অভিযোগ, স্বামী পঙ্কজ নাথ খুন করেছেন তাঁকে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রিয়লিনা বাইকার। সমাজমাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় এক লক্ষ অনুগামী রয়েছে তাঁর। তরুণী বাইকারের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বহু সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী। অন্য এক ইউটিউবার ডিম্পু বড়ুয়া বলেন, ‘‘প্রিয়লিনা খুবই ইতিবাচক মেয়ে ছিলেন। সব সময় হাসিখুশি থাকতেন। ওঁর মতো মেয়ে আত্মহত্যা করবে, ভাবতেই পারা যায় না। অসমে অল্প কয়েক জন মহিলা ভ্লগার (ভিডিয়ো ব্লগ করেন যাঁরা) রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উনি এক জন। ওঁর মৃত্যু বড় ক্ষতি।’’
পঙ্কজের সঙ্গে ছ’মাস আগে পরিচয় হয়েছিল প্রিয়লিনার। তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে তাঁদের। যদিও প্রিয়লিনার বন্ধুরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। এক বন্ধু সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘চার দিন আগেই ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। দারুণ খুশি ছিল ও। অনেক ভিডিয়ো করলাম। ও বলত, ভাড়াবাড়িতে একা থাকে।’’ বামুনিময়দানে একটি ভাড়া বাড়িতে পঙ্কজের সঙ্গে থাকতেন প্রিয়লিনা।
পঙ্কজ অসমের সোনিতপুরের বাসিন্দা। পঙ্কজের মা তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে দু’জনের ঝগড়া হত। তবে প্রিয়লিনাকে চিমটিও কাটেনি পঙ্কজ। যাঁকে তিনি ভালবাসেন, তাঁকে খুন করার প্রশ্নই নেই।
চাঁদমারি থানার পুলিশ আধিকারিক তিনকুমারি বরদলৈ বলেন, ‘‘তরুণীর প্রতিবেশীদের অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ওঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে।’’